ভারতের উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ভেজাল মদ পান করে অন্তত ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত তিন দিনে এদের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা সাহারানপুরে ৬৪ জন ও পূর্বাঞ্চলীয় কুশিনগরে আটজন এবং উত্তরাখণ্ডে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ভেজাল মদ পানের পর অসুস্থ হয়ে পড়া আরো প্রায় দুই ডজন লোক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। উত্তর প্রদেশ পুলিশের দাবি, সাহারানপুরের কিছু লোক মৃত এক লোকের শেষকৃত্যে যোগ দিতে উত্তরাখণ্ডে গিয়ে ভেজাল মদ পান করে এবং সাহারানপুরের এক গ্রামবাসী সেখান থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে মদ নিয়ে এসে অন্যদের কাছে বিক্রি করে।
অপর দিকে কুশিনগরের ঘটনা সম্পর্কে উত্তর প্রদেশ সরকার বলেছে, সেখানে ব্যবহৃত মদ সম্ভবত বিহারে তৈরি করা হয়েছে। সাহারানপুরের জেলা হাকিম এ কে পান্ডে বলেছেন, ‘যদি প্রথমেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে মৃতের সংখ্যা অনেক কম হতো। দ্বিতীয় বিষয়, পিন্টু নামের এক ব্যক্তির সাথে ৩০ থলি (মদ) নিয়ে এসে সেগুলো বিক্রি করে। এগুলো থেকে যারা পান করেছে তারাও মারা গেছে অথবা হাসপাতালে আছে।’
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশনায় উত্তর প্রদেশ রাজ্য পুলিশ অবৈধ মদ উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে এবং বান্ডা এলাকা থেকে বিপুল অবৈধ মদ জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার সবাই ভেজাল মদ তৈরি ও বিক্রির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। ২০১১ সাল থেকে উত্তর প্রদেশে ভেজাল মদ পানের আটটি ঘটনায় ১৭৫ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনার চারটি আদিত্যনাথ সরকারের আমলেই ঘটেছে।
সূত্র : এনডিটিভি