জিয়া ছিলেন পাকিস্থানের এজেন্ট: মির্জা আজম

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মির্জা আজম এমপি বলেছেন, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তিনি পাকিস্তানিদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খালেদা জিয়া এবং এরশাদ যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিতে পারতো না, তারা ছিলো নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীদের কারাগার থেকে মুক্তি দিয়েছেন।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৬ নং আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রথম অধিবেশনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম তার বক্তব্যে আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ সুখে ও শান্তিতে থাকে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, ভবিষ্যতেও এগিয়ে যাবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি বাংলাদেশ একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আর বিএনপি-জামাত জনগণের ভালো চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ অশান্তিতে থাকে।

তিনি বলেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন দলের নেতাকর্মীরা অনেক নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, দুঃসময়ে যারা দলের সাথে ছিল তারাই পরিক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকর্মী। তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে।

আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন-জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকি বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন তরফদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালেহ সফি গেন্দা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-আমিন চাঁন,মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন, সদস্য মির্জা কবির, অধ্যক্ষ আলহাজ্ব গোলাম রব্বানী, মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান বেলাল।

সন্ধ্যায় দ্বিতীয় অধিবেশনে পরবর্তী ৩ বছরের জন্য সভাপতি পদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোনায়েম তালুকদার সুজনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে নির্বাচিত করা হয়।

Share this post

scroll to top