উপজেলা নির্বাচন, সিদ্ধান্ত পরিবর্তন আওয়ামী লীগের

এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আওয়ামী লীগ। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব পদে দলীয়ভাবেই মনোনয়ন দেয়া হবে।

গতকাল সোমবার দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়। এর আগে বুধবার দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ওই দুই পদে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আইনের ১৬ (ক) ধারা ৮-এর বিধানে বলা হয়েছে, ‘কোনো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কোনো ব্যক্তিকে কোনো রাজনৈতিক দল কর্তৃক মনোনীত বা স্বতন্ত্র হইতে হইবে’। তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিয়ে এই ধারায় কোনো কথা বলা হয়নি।

আগের বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলটির স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে না। তবে গতকাল সর্বশেষ বিবৃতিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগ্রহীদের ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৮(৪) ধারা মোতাবেক জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক জেলা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের (চারজন) স্বাক্ষরে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ঐকমত্যের ভিত্তিতে একক প্রার্থী অথবা অনধিক তিনজনের একটি প্রার্থী তালিকা ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, সারা দেশে চেয়ারম্যানের চেয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশি। হিসাব করে তারা বলেন, অন্তত ৭০ হাজার মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদে। এ পদ উন্মুক্ত রাখা হলে অনেক ‘ঝক্কি-ঝামেলা’ হতে পারে। মাঠপর্যায়ে গ্রুপিং ও সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে। সে জন্য কেন্দ্র থেকে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top