করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত ভারত। রোজ লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১৭৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান মহামারিতে এটি সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির রেকর্ড।
মঙ্গলবার ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২ লাখ ৫৯ হাজার ১৭০ জন। যা সোমবারের তুলনায় প্রায় ১৪ হাজার কম। সংক্রমণের এই রেকর্ড বৃদ্ধিতে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখের ঘর।
সোমবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৬২৫ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও মঙ্গলবার সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৬১ জনে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৫৩০ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে মারা গেছে ৩৫১ জন। কর্নাটক এবং উত্তরপ্রদেশে সংখ্যাটা ১৫০-র আশপাশে। ছত্তিশগড়ে সংখ্যাটা ১৭৫। দিল্লিতে দৈনিক মৃত্যু এক লাফে পৌঁছেছে ২৪০ জনে।
এখন পর্যন্ত ভারতে মোট করোনা পজিটিভ ১ কোটি ৫৩ লাখ ২১ হাজার ৮৯ জন। তার মধ্যে বর্তমানে অ্যাক্টিভ কেস ২০ লাখেরও বেশি।
ভারতে সবচেয়ে করোনা আক্রান্ত পাঁচটি রাজ্য হল-মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশ।
ভারতের করোনার হটস্পট মহারাষ্ট্রে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ৫৮ হাজার ৯২৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগের দিন এই সংখ্যাটা ছিল ৬৮ হাজার ৬৩১ জন।
এদিকে আনন্দবাজার জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে রাজধানী দিল্লির পথ অনুসরণ করে সম্পূর্ণ লকডাউন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে করোনা মহামারীতে ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র।
এর আগে সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যে ‘লকডাউনের মতো’ কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছিল উদ্ধব ঠাকরের প্রশাসন। তবে তাতে কাজ না হওয়ায় এবার সম্পূর্ণ লকডাউনের পথেই হাঁটার কথা ভাবছে তারা।
এছাড়া ১৮ বছর বয়স হলেই কভিড টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আগামী ১ মে থেকেই শুরু হবে টিকাকরণ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।