হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণবিরোধী ঈমানী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কথিত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চসহ কিছু কু-চক্রী মহল অবিরতভাবে আলেম-উলামার বিরুদ্ধে বিষোদগার ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। এমনকি বরেণ্য শাইখুল হাদীস আল্লামা আজীজুল হক (রাহ.) ও মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করীম (রাহ.) সম্পর্কেও চরম আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের ভূমিকা নিয়ে অবাস্তব ও ভিত্তিহীন প্রশ্ন তুলে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করছে। এই অপতৎপরতা সরকারকে অনতিবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তৎসঙ্গে ইসলামবিরোধী প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণের সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশবাসীকে সাথে নিয়ে তীব্র গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে, ইনশাআল্লাহ।
আজ (২৬ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জামেয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় ঢাকাস্থ শীর্ষ আলেমদের এক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি এনামুল হক, মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা রশীদ আহমদ, মাওলানা হাফেজ নাজমুল হাসান, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা শরীফুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ, মাওলানা মুরশিদুল আলম ও মাওলানা রুহুল আমীন’সহ ঢাকার নেতৃস্থানীয় বহু উলামায়ে কেরাম।
সভায় উলামায়ে কেরাম বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানাতে দেওয়া হবে না। তারা বলেন, মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে কূটকৌশলের পার্থক্য তৈরি করে প্রাণী বা আবক্ষ মানব ভাস্কর্য নির্মাণ ইসলামের দৃষ্টিতে কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সভায় আমীরে হেফাজত আল্লামা হাফেজ জুনায়েদ বাবুনগরী ও হেফাজতের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ বিভিন্ন উলামায়ে কেরামের মাহফিলে বাধাদানের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।