ফ্লোরিডার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সফলভাবে মহাকাশে রওনা হলো ড্রাগন। যার ভিতর আছেন চার মহাকাশচারী।
তিন মার্কিন এবং এক জাপানি মহাকাশচারীকে নিয়ে সফলভাবে মহাকাশের স্পেস স্টেশনের দিকে উড়ে গেল নাসার স্পেস এক্স-এর ড্রাগন মহাকাশযান। সোমবারই যানটির মহাকাশের স্পেস স্টেশনে পৌঁছে যাওয়ার কথা।
সেখানে অন্য মহাকাশচারীদের সঙ্গে আগামী ছয় মাস কাজ করবেন এই চার মহাকাশচারী। তারপর স্পেস এক্স-এর মহাকাশযানে চড়েই তারা ফিরে আসবেন পৃথিবীতে।
এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার ফ্লোরিডায় নাসার গবেষণা কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে মহাকাশে গিয়েছিল স্পেস এক্স-এর ড্রাগন। সেই মহাকাশযানেও মহাকাশচারী ছিলেন।
তবে রোববার ফ্লোরিডা থেকে যে চারজন মহাকাশচারীকে পাঠানো হয়েছে, তার আগামী ছয় মাস মহাকাশের স্পেস স্টেশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় অংশ নেবেন।
চারজন মহাকাশচারীর তিনজন আমেরিকার এবং একজন জাপানের। তাদের নাম যথাক্রমে, মাইকেল হপকিন্স, ভিক্টর গ্লোভার, শ্যানন ওয়াকার এবং সইচি নগুচি। গ্রিনিচ সময় রাত ১২টা ২৭ মিনিটে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে রওনা হন তারা।
এতদিন মহাকাশের স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারীদের আনা নেওয়ার কাজ মূলত করতো রাশিয়ার সয়ুজ মহাকাশযান। স্পেস এক্স-এর ড্রাগন বহু দিনের সেই নিয়মে খানিকটা পরিবর্তন আনলো। বস্তুত, রাশিয়ার মহাকাশযানের চেয়েও এই মহাকাশযান আর দ্রুত স্পেস স্টেশনে পৌঁছবে বলে নাসার বক্তব্য।
সোমবার সকালে নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অরবিট ভেদ করে ড্রাগন মহাকাশে ঠিকভাবে পৌঁছে গেছে। নাসার এই উৎক্ষেপনের পরে আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নাসা এবং অভিযাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পও টুইটে লিখেছেন ‘গ্রেট’।
উৎক্ষেপণের সময় ফ্লোরিডার স্পেস স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনস। তিনি বলেছেন, এ দিনের ঘটনা অ্যামেরিকার মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।