পরলোকগত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ

পুলিশের সহযোগিতায় সন্ত্রাসীদের হামলায় যেকোনো সময় প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন রাজধানীর খিলক্ষেতের একাধিক পরিবার। এমনকি ওই পরিবারের প্রধানদের গুম করারও আশঙ্কা করছেন তারা। এ ব্যাপারে নিজেদের নিরাপত্তা ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে মো: শহিদুল ইসলাম বেপারী, শেখ নজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলামসহ ভুক্তভুগীরা।

বুধবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভুগীদের পক্ষে শহিদুল ইসলাম বেপারী বলেন, ২০০ বছর ধরে তারা পৈত্রিক সম্পত্তি খিলক্ষেত পঞ্চু বৈদ্য খতিয়ান নং-৯৫২৩, দাগ নং-২৪৮২২ দাগের এক একর ৭ শতাংশ জমিতে বসবাস করছেন। এই জমিতে তাদের ৬ তলা বিশিষ্ট বাড়ি রয়েছে ৩টা। এছাড়া একাধিক ভবন নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু পরলোকগত মেয়র আনিসুল হকের এমজি প্রোপার্টিজ ওই জমি কেনার জন্য প্রথমে তাদের নানাভাবে প্রলোভন দেখাতে থাকে। রাজি না হওযায় তারা জমি দখলের অপকৌশল অবলম্বন করে একাধিক ভুয়া দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টা করে। এই নিয়ে থানা ও আদালতে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। সম্প্রতি চলতি মাসের ৭ তারিখে খিলক্ষেত থানার দুই প্লাটুন পুলিশ ও একাধিক সন্ত্রাসী নিয়ে ওই জমে দখলের জন্য হামলা চালানো হয়। এসময় এলাকাবাসীর প্রতিরোধে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু এরপর থেকে পুলিশ ও সন্ত্রাসীরা ওই জমির মালিকদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে অভিযুক্তরা যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এমজি প্রোপার্টিজের ডিরেক্টর (ল্যান্ড) মতিন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি তারা কিনে নিয়েছেন। কিন্তু শহিদুল ইসলাম গংরা অবৈধভাবে দখলে রেখেছেন। যা নিয়ে একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। তারা পরলোকগত সাবেক মেয়র আনিসুল হকের বদনাম করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে।

খিলক্ষেত থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা থাকায় সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়। পুলিশ সেখানে কারো পক্ষ নিয়ে কাজ করেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

Share this post

scroll to top