সেনাবাহিনী নামায় ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা। সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সিইসি।
সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারবে সেনাবাহিনী।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিতে গতকাল রাত ১২টা থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইসির প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। কাল থেকে জেলায় জেলায় পাঠানো হবে ব্যালট পেপার।
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান বলেন, ভোটগ্রহণের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ। ব্যালট মুদ্রণও শেষপর্যায়ে। কয়েকটি আসনে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। সেই আসনগুলোয় শেষ মুহূর্তে ব্যালট মুদ্রণ হবে।
ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে মাঠে থাকবেন।
এ ছাড়া আগামী ২৯ ডিসেম্বর ৩০০ সংসদীয় আসনে সব মিলিয়ে ৬৪০ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন। তারা ভোটের পরও দুদিনসহ সব মিলিয়ে চার দিন মাঠে থাকবেন। এ সময় নির্বাচনী অপরাধে সংক্ষিপ্ত বিচার করবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটগ্রহণের দিন মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী একজন পুলিশসহ মোট ১৪ জন মোতায়েন থাকবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী দুজন পুলিশসহ ১৬ জন থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশসহ মোট ১৬ জন দায়িত্ব পালন করবে। মেট্রোপলিটন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে থাকবে অস্ত্রধারী পাঁচজন পুলিশসহ মোট ১৮ জন।
এদিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্র বিতরণের কাজ চলছে। আজ থেকে গণমাধ্যমকর্মীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হবে।