অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৯৩ রান করেছে সফরকারী ভারত। কোহলির ব্যাট থেকে আসে ৭৬ ও আগারওয়াল করেন ৫৫ রান।
কিংস্টনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলো ভারতের দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও আগারওয়াল। তবে স্কোর বোর্ডে ৩২ রান তুলে সপ্তম ওভারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তারা। ১৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের বলে ফিরেন রাহুল। তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি চেতেশ্বর পূজারা। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অফ-স্পিনার রাখিম কর্নওয়ালের বলে আউট হবার আগে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। ফলে ৪৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপর আরেক ওপেনার আগারওয়ালকে নিয় বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন কোহলি। জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৬৯ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন আগারওয়াল-কোহলি। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডারের দ্বিতীয় শিকার হন আগারওয়াল। ৭টি চারে ১২৭ বলে ৫৫ রান করেন আগারওয়াল।
হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে সেঞ্চুরির পথেই হাটচ্ছিলেন কোহলি। তার সাথে ছিলেন আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আজিঙ্কা রাহানে। কিন্তু এবার ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। চতুর্থ উইকেটে কোহলির সাথে ৪৯ রান দলকে এনে দেন রাহানে।
রাহানে ফিরে যাবার পর দলকে ২শ’ রানে পৌঁছে দেন কোহলি। এরপরই কোহলিকে ব্যক্তিগত ৭৬ রানে আটকে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার। এটি ছিলো তার তৃতীয় শিকার। ১০টি চারে ১৬৩ বলে নিজের ক্যারিয়ারের ২২তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে আউট হন কোহলি।
দলীয় ২০২ রানে কোহলি ফিরে যাবার পর দিনের শেষ সেশনে দলের হাল ধরেন হনুমা বিহারি। উইকেটরক্ষক ঋসভ পান্থকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন তিনি। বিহারি ৮টি চারে ৮০ বলে ৪২ ও ২টি চার-১টি ছক্কায় ৬৪ বলে ২৭ রানে অপরাজিত আছেন পান্থ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হোল্ডার ৩৯ রানে ৩ উইকেট নেন।