ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক: রুমিন ফারহানা একাধারে রাজনীতিবিদ, আইনজীবি ও সাংবাদিক। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৮ মে “সংসদ সদস্য” পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তিনি আইন ও রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশি লেখক ও সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকও। ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উচ্চ আদালত বিভাগের আইনজীবী।
রুমিন ফারহানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুরে মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা অলি আহাদ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ী ভাষা সৈনিক। তার পিতা অলি আহাদ ভাষা আন্দোলনে ১৫৪ ধারা ভঙ্গের নায়ক। তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। এ কারণে উনি স্বাধীনতা পুরস্কার পান। অলি আহাদ তার জীবনের দীর্ঘ ১৯ বছর তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। রাজনীতি করেছেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মাওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার দাদা আবদুল ওহাব ডিস্ট্রিক্ট রেজিস্ট্রার ছিলেন। রুমিন হোলি ক্রস স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে তার স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যের লিংকনস্ ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।
রুমিন ফারহানা বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। ব্যারিস্টার হিসেবে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে আইনী পেশায় কাজ করেন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়ে সংরক্ষিত নারী আসন-৫০ নং আসন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির একমাত্র নারী সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন।
রুমিন পরিবার থেকেই রাজনৈতিক দীক্ষা পান। রুমিন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাবার হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন।