কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি কি কলেজের গণ্ডি পেরিয়েছেন? বছর পাঁচেক আগে এই প্রশ্নে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল৷ লোকসভা নির্বাচনের আবহে সেই বিতর্ক অন্য মাত্রা নিল৷ বৃহস্পতিবার বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি স্বীকার করলেন, তিনি গ্র্যাজুয়েট নন৷ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট কোর্সে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন, তা শেষ করেননি৷ প্রসঙ্গত, এই স্মৃতি ইরানি মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পান৷ পরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও পান৷
স্মৃতি ইরানির লেখাপড়ার দৌড় নিয়ে বারবারই আক্রমণ করেছেন বিরোধীরা৷ বিরোধীদের দাবি, স্মৃতি ইরানি আদৌ কলেজের গণ্ডি পেরোননি৷ স্মৃতি অবশ্য বিরোধীদের দাবি, বার বারই উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক৷ এ হেন স্মৃতি অবশেষে স্বীকার করলেন, তিনি স্নাতক নন৷
যার নির্যাস, স্মৃতির শিক্ষা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হল৷ এমনকী জালিয়াতির অভিযোগেও ফাঁসতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ কারণ, ২০০৪ সালে চাঁদনিচক থেকে যখন ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি, তখন তিনি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলেন, তিনি বিএ পাশ করেছেন৷ ১৯৯৬ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের করেসপন্ডেন্সে বিএ পাস করেছেন৷ ২০১৪ সালে কমিশনে দেওয়া অ্যাফিডেভিটে তিনি দাবি করেন, তিনি কমার্স গ্র্যাজুয়েট৷ ১৯৯৪ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে স্নাতক হন৷
ইতিমধ্যেই স্মৃতির শিক্ষাগত ডিগ্রি নিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে৷ বর্তমানে স্মৃতি ইরানি কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন৷