ভারত অধিকৃত জম্মু কাশ্মিরের আরো একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার৷ গতকাল শুক্রবার দিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ‘কাশ্মিরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে এবং উগ্রবাদ ও সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে সমর্থন করা’র অভিযোগ এনে সংগঠনটির বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাশ্মিরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে সরকার। সেই নীতি অনুসারেই ইয়াসিন মালিকের জম্মু-কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ করা হয়৷
সরকারের এ সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি৷ এক টুইটে তিনি প্রশ্ন করেন, ইয়াসিন মালিকের সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই কি কাশ্মিরে শান্তি ফিরবে?
ইয়াসিন মালিক এখন জম্মুর কোত বালওয়াল জেলে বন্দি রয়েছেন৷ শীঘ্রই তার বিরুদ্ধে ত্রিশ বছরের পুরোনো একটি হাই প্রোফাইল অপহরণ মামলার বিচারপর্ব শুরু হবে৷ তিন দশক আগে শ্রীনগরে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ সাইয়েদের মেয়ে রুবায়া সাইয়েদকে অপহরণ করা এবং চার সেনাসদস্যকে খুন করার অভিযোগ রয়েছে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে৷ এছাড়া তার সংগঠনের বিরুদ্ধেও ৩৭টি অভিযোগ রয়েছে৷ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরি প-িতদের হত্যার জন্য ইয়াসিন মালিকের সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজীব গৌবা জানিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে ইয়াসিন মালিক প্রবল আশঙ্কার কারণ৷ জম্মু কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের জয়েশ-ই মুহাম্মদ ও লস্করে তৈয়েবার সাথে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলওয়ামা হামলার পরপরই জামাত-ই-ইসলামি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার৷ এর পরপরই কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী নেতাদের নিরাপত্তা তুলে নেয়া হয়৷ সূত্র : এনডি টিভি