আইএস-বধূ খ্যাত ব্রিটিশ তরুণী শামীমার আইনজীবীকে ক্যাম্পে ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সিরিয়ায় যে ক্যাম্পে শামীমা অবস্থান করছেন সেখানে মার্কিন সমর্থিত কুর্দিশ বাহিনী তাকে ঢুকতে দেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আইনজীবী তাসনীম আকুঞ্জি।
ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করার পর সে ব্যাপারে আপিল করতে চান শামীমা। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে আকুঞ্জি সেখানে যেতে চেয়েছিলেন।
আলজাজিরার খবরে প্রকাশ, আইনজীবী তাসনীম আকুঞ্জি এ সপ্তাহের শুরুর দিকে উত্তর সিরিয়ার আল-রোজ ক্যাম্পে যান আপিলের ব্যাপারে শামীমার নির্দেশনা ও স্বাক্ষর নিতে।
‘শামীমা তার নাগরিকত্ব বাতিলের আইনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানেন না। তিনি জানেন না যে, এ বিষয়ে তার আপিল করার অধিকার রয়েছে’, আলজাজিরাকে বলেন আকুঞ্জি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি তাকে পরামর্শ দিতে এবং আপিলের জন্য পেপারবুক তৈরি করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট সময় ২৮ দিন মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
বর্তমানে ১৯ বছর বয়সী শামীমা ২০১৫ সালে উগ্রবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দেয়ার জন্য পূর্ব লন্ডনের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গত মাসে তাকে সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ) পরিচালিত একটি ক্যাম্পে তার সন্ধান পাওয়া যায়। এসডিএফ হচ্ছে কুর্দি সমর্থিত একটি গ্রুপ, যারা আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
আকুঞ্জি সেখানে যাওয়ার আগে বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সে ক্যাম্পে প্রবেশ করেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা শামীমার সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য। গত মাসে শামীমা ব্রিটিশ সরকারের কাছে দেশে ফেরার আবেদন করেন।
কিন্তু আকুঞ্জি বলছেন, এসডিএফ তাকে বলেছে ক্যাম্পের নির্দেশনা পরিবর্তন হয়েছে।
আকুঞ্জি বলেন, ‘আমি ক্যাম্পের নিরাপত্তাকর্মীরা আমাকে কিছু সময়ের জন্য আটক করে রাখে এবং বলে যে, এ ক্যাম্পে কারো প্রবেশের অনুমতি নেই।’
বাহিনীটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা ও একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথেও তার কথা হয়েছে জানিয়ে আকুঞ্জি জানান, ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাকে বলেছেন যে, তিনি এ ব্যাপারে আন্তরিক এবং তিনি এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন।’
কিন্তু এখনো শামীমার সাথে তিনি দেখা করতে পারছেন না, জানান আকুঞ্জি।