পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে ভারতের মাটিতে পা দেয়ার পর দিনই জানিয়েছিলেন, দ্রুত কাজে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু ভারতী বিমান বাহিনীর উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের সেই ইচ্ছে এখনই পূরণ হচ্ছে না। এখনই কাজে ফেরা হচ্ছে না অভিনন্দনের। আপাতত উইং কম্যান্ডারকে ছুটিতে পাঠাচ্ছে বিমানবাহিনীর চিকিৎসকদের পরামর্শমতোই তাকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কয়েক সপ্তাহের জন্য মেডিক্যাল লিভে পাঠানো হয়েছে অভিনন্দনকে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান-ভারত আকাশযুদ্ধে পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর গুলিতে বিধ্বস্ত হয় অভিনন্দনের মিগ জঙ্গি বিমান। তিনি পাকিস্তানের মাটিতে ধরা পড়েন। পাকিস্তান তাকে শুভেচ্ছার নিদর্শন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মুক্তি দেয়।
গত ১ মার্চ দেশে ফেরার পর তার বেশ কিছু মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়েছে। এর আগেই, বিমান বাহিনী প্রধান বি এস ধানোয়া জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ককপিটে ফিরতে পারবেন না অভিনন্দন। দুর্ভাগ্যবশত প্রাথমিকভাবে মেডিক্যাল পরীক্ষার পর অভিনন্দনকে ক্লিনচিট দিলেন না চিকিৎসকরা। তাকে কয়েক সপ্তাহ বিশ্রামে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৩-৪ সপ্তাহ পর ফের তার মেডিক্যাল পরীক্ষা হতে পারে। তার পরই অভিনন্দনের অপারেশনে ফেরা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আসলে ভেঙে পড়া মিগ বিমান থেকে বেরোতে গিয়ে কোমরে ও শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। তাঁর শরীরে এখনও যথেষ্ট ব্যথা রয়েছে। জানা গেছে, মিগ-২১ বাইসন বিমানটি নিয়ে আজাদ কাশ্মীরে ভেঙে পড়ার পর ঘাড়ে, শিরদাঁড়ায় ও পাঁজরে গুরুতর চোট পান তিনি। ককপিট থেকে বেরোনোর পর তিনি উঠে দাঁড়াতেই পারছিলেন না। এই অবস্থায় তিনি পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান।
তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্ক্যান, এমআরআই এবং বায়োলজিক্যাল বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, অভিনন্দনের শরীরে কোনো মাইক্রোচিপ বা বাগ ঢুকিয়ে দেয়নি পাকিসতান সেনাবাহিনী বা আইএসআই। তবে তার ককপিটে ফেরা বেশ খানিকটা পিছিয়ে গেল৷