শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৬২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন এমপিওভূব্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার ইতোমধ্যে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর জনবল কাঠামোও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ জারি করা হয়। এমপিও প্রত্যাশী প্রতিষ্ঠান থেকে অন লাইন এ আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার আবেদন আমরা পেয়েছি। এর মধ্য থেকে যাচাই বাছাই করে যারা ‘নির্ণায়ক মান’ পূরণে সমর্থ হয়েছে এমন ২ হাজার বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠাকে যোগ্য বলে বেছে নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে একবছরে না হলেও পর্যায়েক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে ।
সংসদে প্রশ্নোত্তরে রোববার পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, যাচাই বাছাই প্রক্রিয়াটি একেবারেই কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হয়েছে। কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। ইতিমধ্যে আমরা এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। তাদের বরাদ্দের প্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে আমরা বাছাই কৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিও ভুক্ত করবো। ২০০৯ সাল থেকে সারা দেশে ১ হাজার ৬২৪ টি বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে।
দীপু মনি বলেন, এর ফলে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার আরো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
লিয়াকত হোসেন খোকার অপর এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, দেশে বর্তমানে বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৩ টি। বর্তমান সরকার বিগত মেয়াদে (২০০৯-২০১৮) দেশে ৪৯ টি বেসরকারী বিশ্ব বিদ্যালয় পরিচালনা ও স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তানভীর ইমামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের যে সকল উপজেলায় কোন সরকারী স্কুল এবং কলেজ নেই সে সকল উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি/ সম্মতি/ নির্দেশনার আলেঅকে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি করে কলেচ সরকারীকরণের আওতায় ইতমধ্যে সারাদেশে ৩২১টি স্কুল এবং ২৯৬ টি কলেজ সরকারীকরণের প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়েছে।
দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী জাকির হোসেন জানান, দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে মৌলিক সাক্ষরতা দেয়ার লক্ষ্যে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প(৬৪ জেলা)শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের ৬৪ টি জেলায় নির্ধারিত ২৫০ টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ৯ হাজার নারী ও ৯ হাজার পুরুষ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেয়া হবে। প্রকল্পটি ৪টি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে।