বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সমাধানে ধৈর্য ধরা ছাড়া কোনো উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী।
রোববার বিকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ক্যাপাসিটি অনেক আছে কিন্তু ফুয়েলের ঘাটতির জন্য আমরা পারছি না। আমাদের এখন ফরেন এক্সচেঞ্জ কনজাম করতে হবে। বিপদ কোন সময় কী আসে সারা পৃথিবীর। এর সঙ্গে একটি গ্রিড ফেল করেছিল। গ্রিড রিভাইভ করতে সময় লাগে। আমাদের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে রিভাইভ হয়েছিল। পৃথিবীর অনেক দেশে ২-৩ দিন হয়ে গেছে। গত বছর পশ্চিমবঙ্গের দিকে একটা গ্রিড ফেল করেছিল প্রায় ২৩০ মিলিয়ন লোক এফেক্টেড হয়েছিল। সেটাও অনেক সময় লেগেছিল।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, আমি এটা বলবো, আমাদের সরকার সব সময় এ ব্যাপারে সচেতন। আপনারা একটু ধৈর্য ধরেন, ইনশাল্লাহ যদি বিশ্ব পরিস্থিতির উন্নতি হয় তাহলে তো আর কোনো প্রশ্ন ওঠে না। না হলে আমাদের ফুয়েল ঘাটতির জন্য আমাদের কষ্ট করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একটু সময় দিতে হবে। সব তো আমরা এন্টিসিপেট করতে পারি না। বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করলে এর বিনিয়োগের জন্য একটা খরচ দিতে হবে। এটা হলো ক্যাপাসিটি চার্জ। আপনি বলতে পারেন, এখন তো বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে আছে। তাহলে আপনি বেশি করলেন কেন? উত্তর হলো, এসব ঘটনা যে ঘটবে এটা তো আমরা এন্টিসিপেট করিনি! একটা সুবিধা হলো, এর উত্তোরণ হয়ে গেলে আমাদের অর্থনীতি আরও সচল হবে।