বগুড়ার ধুনট থানার এএসআই রোজিনা খাতুন (৩০) বিষাক্ত ট্যাবলেট সেবন করে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের সিংড়া উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের নান্নু মিয়ার মেয়ে রোজিনা খাতুন ২০০৭ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০০৮ সালে একই এলাকার আব্দুল লতিফ মোল্লার ছেলে সিংড়া উপজেলার দমদমা কারিগরি স্কুলের সহকারী শিক্ষক হাসান আলীর সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের দুই সন্তান মেয়ে জুই (৭) ও ছেলে রাজের (৪)। স্বামী হাসান আলী চাকরির সুবাদে গ্রামের বাড়িতে থাকলেও রোজিনা পদোন্নতি পেয়ে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি ধুনট থানায় যোগদান করেন। থানা ভবনের পাশের একটি ভাড়া বাসায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছিলেন তিনি।
রোজিনার বাবা নান্নু মিয়া বলেন, পাঁচ-ছয় বছর ধরে রোজিনার সাথে জামাতা হাসানের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল।
গত বৃহস্পতিবার রোজিনার বাসায় হাসান আলী বেড়াতে আসেন এবং শনিবার সকালে গ্রামের বাড়িতে চলে। এর পর থেকেই মেয়ের মন খারাপ ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে রোজিনা গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় তিনি মারা যান।
রোজিনার স্বামী হাসান আলী বলেন, স্ত্রী অসুস্থ হওয়ার খবর শুনে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
ধুনট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুকুল ইসলাম জানান, দাম্পত্য কলহের কারণেই রোজিনা আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।