শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নির্মাণাধীন উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সংলগ্ন সদ্য নির্মিত অডিটরিয়ামটির পিছনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। হস্তান্তরের আগেই এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে থাকা ওই অডিটরিয়ামটির ফাটল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নির্মাণকাজের মান নিয়ে।
সূত্র জানায়, এলজিইডি (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর) এর তত্ত্বাবধানে ও জিওবি অর্থায়নে প্রায় ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এর চারতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। একই প্যাকেজের আওতায় রয়েছে অডিটরিয়াম। কাজটি বাস্তবায়ন করছে ধ্রুব ট্রেড এজেন্সি নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
মূল ভবনটির পাশাপাশি ইতোমধ্যেই অডিটরিয়ামটির অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়েছে। তবে বৈদ্যুতিক কাজ ও ডেকোরেশন এখনও সম্পন্ন হয়নি।
সম্প্রতি অডিটরিয়ামটির পেছনের (উত্তরের) অংশে থাকা দেয়ালে লম্বা ফাটল দেখা দিয়েছে। হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় নির্মাণকাজের মান নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। শুধু তাই নয়, অডিটরিয়ামটির দরজা-জানালার কাজের মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এসব জায়গায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভবনটির তত্ত্বাবধানকারী এলজিইডি নালিতাবাড়ী’র প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এটা অবকাঠামোগত ত্রুটি নয়। নিচের মাটি নরম হওয়ায় ইটের গাঁথুনিতে ফাটল ধরেছে। এটা মেরামতযোগ্য ও তেমন কোন বিষয় নয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা জানান, হস্তান্তরের আগেই যে দেয়ালে ফাটল ধরে অবশ্যই তার নির্মাণ ত্রুটি রয়েছে। তা ইটের গাঁথুনি থেকেই হোক আর মাটি নরম থাকার ফলেই হোক। নির্মাণকাজ সঠিকভাবে হলে কখনও এত অল্প সময়ে ইটের গাঁথুনিতে ফাটল ধরার কথা নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান ফাটলটি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে এর দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীকে পত্র লেখব।