ভিয়েতনাম থেকে এক ভুক্তভোগী বাংলাদেশি পুলিশের কেন্দ্রীয় ফেসবুক পেইজের মেসেঞ্জার ইনবক্সে জানান যে, ময়মনসিংহে তারই এলাকার ‘মানব পাচারকারী চক্রের দালাল’ কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানীর মাধ্যমে উচ্চ বেতনের চাকরির আশ্বাসে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে কয়েকদিন আগে তিনি ভিয়েতনামে আসেন।
দালাল তাকে আশ্বাস দিয়েছিল, ভিয়েতনামে কোম্পানির লোক তাকে সেখানকার বিমানবন্দর থেকে নিয়ে যাবে, থাকা-খাওয়া এবং চিকিৎসা খরচ তারাই বহন করবে এবং মাসে ৬৫০ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ বেতন দিবে।
কিন্তু, ভুক্তভোগী ভিয়েতনামে পৌঁছানোর পর দেখতে পান যে এর কোনো কিছুই সত্য নয়। এমনকী, চাকরিরও কোনো ব্যবস্থাই হয়নি।
সেখানে পৌঁছানোর পর তার ওপর শুরু হয় নানা নির্যাতন। তিনি দেশে ফেরার জন্য দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে দালাল তাকে জানান যে তার (দালালের) কাজ ছিল তাকে (ভুক্তভোগীকে) ভিয়েতনামে পৌঁছানো। এখন তার আর কোনো দায়িত্ব নেই।
বর্তমানে তিনি ভিয়েতনামে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলেও পুলিশকে জানান সেই ভুক্তভোগী।
পুলিশের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সদরদপ্তর ময়মনসিংহ জেলার পুলিশ সুপারকে বিষয়টি জানায়।’
‘জেলা পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ “দালাল চক্রের সদস্য” কাজী সালেহ আহাম্মদ ওসমানীকে গ্রেপ্তার করে,’ যোগ করেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।