ময়মনসিংহ লাইভ ডেস্ক : দেশের ১৪৬টি সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই চালু করেছে সরকার। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৩৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে।
রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই ওয়াইফাই জোনগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সচিব নূর-উর রহমান।
ফ্রি ওয়াইফাই চালু হওয়া প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ এমবিপিএস গতির ব্যান্ডউইথ পাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এক বছর পর্যন্ত বিনামূল্যে এই ব্যান্ডউইথ পাবে। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যান্ডউইডথের খরচ বহন করবে। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য এটি বিনামূল্যেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি, স্পেশালি ছাত্রছাত্রীদের দাবি ফ্রি ওয়াইফাই করে দেয়া। সেজন্য এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে । দেশে তরুণদের দাবি সব জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই। সেটা আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পটা হল তারই অংশ ।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ যাত্রা যখন শুরু হয় তখন অনলাইন দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। তখন মাত্র দশমিক ৩ ভাগ ইন্টারনেট অ্যাকসেস ছিল । এখন সেটি ৬০ শতাংশে চলে এসেছে।
জয় বলেন, গত ১০ বছরে দেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে৷ দেশের ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট ফাইভার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেশের সকল মানুষকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই কাজ চলমান থাকবে ।
২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উদ্যোগে ‘ইন্সটলেশন অব অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট’ শীর্ষক এই প্রকল্পটি নেয়া হয়। এটি বাস্তবায়ন করছে বিটিসিএল।
প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৫৮৭ সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বিনামূল্যে উচ্চগতির ওয়াইফাই দেয়া হবে। এ জন্য সরকার খরচ করছে ৪৫ কোটি টাকা।
এরমধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩টি, ময়মনসিংহে ৩৫টি, চট্রগ্রামে ১০৭, বরিশালে ৪৫, খুলনায় ৮৩, রাজশাহীতে ৮৫, রংপুরে ৫৬ এবং সিলেটে বিভাগে ৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সবগুলো বিভাগের এসব সরকারি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তিন লটে অপটিক্যাল ক্যাবল ও যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।
পর্যায়ক্রমে দেশের সব বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়েও এ সুবিধা সম্প্রসারণ করার কথা রয়েছে।