অবশেষে মুক্তি পেল র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত হয়ে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ১২১ শিশু। এর মধ্যে ১২ বছরের নিচে থাকা ১১ শিশুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকি ১২ বছর থেকে ১৮ বছরের যারা তাদের শিশু আদালতের মাধ্যমে জামিন দেয়া হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে অভিভাবকদের কাছে এসব শিশুদের বুঝিয়ে দেয় শিশু উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ এহিয়াতুজ্জামান জানান, আজ হাইকোর্টের আদেশ হাতে পাওয়ার পরই আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ বছরের নিচে থাকা ১১ শিশুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে৷ বাকি যাদের বয়স ১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে, তাদের সংশ্লিষ্ট শিশু আদালতের সন্তুষ্টি সাপেক্ষে ৬ মাসের জামিন দেয়া হয়েছে৷ এ বিষয়ে শিশু আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ মে থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১২১ শিশুকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। যাদের রাখা হয়েছে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে। এদের মধ্যে ১৭ বছর বয়সী আছে ২৮ জন।
২৬ জনের বয়স ১৬ বছর, ২০ জনের বয়স ১৫ বছর, ১৬ জনের বয়স ১৪ বছর, ১১ জনের বয়স ১২ বছর। আর সাতজনের বয়স ১৩। বাকি ১২ জনের বয়স ৮ থেকে ১১ বছর। একজনের বয়স উল্লেখ নেই। যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত একটি শিশু আছে বলে জানানো হয় ওই প্রতিবেদনে।
২০১৩ সালের শিশু আইনে বলা হয়েছে, ‘বিদ্যমান অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের উদ্দেশ্যপূরণকল্পে, অনূর্ধ্ব ১৮ (আঠার) বৎসর বয়স পর্যন্ত সব ব্যক্তি শিশু হিসেবে গণ্য হইবে।’ আর ১৬ ধারায় বলা হয়েছে, (১) আইনের সহিত সংঘাত জড়িত শিশু কর্তৃক সংঘটিত যে কোনো অপরাধের বিচার করিবার জন্য, প্রত্যেক জেলা সদরে শিশু-আদালত নামে এক বা একাধিক আদালত থাকিবে।