আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের তত্ত্বাবধানে করেছেন। এরা যেন আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবীতে আসতে না পারেন সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই তালিকায় দেড় হাজারের মতো অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে।
শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে উড়ালসড়ক নির্মাণ কাজের পরিদর্শনে এসে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী দিনে দলের নেতৃত্বে কারা আসবে সে বিষয়েও ইঙ্গিত দেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, যারা ভালো মানুষ, শিক্ষিত মানুষ, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তারা দলের নেতৃত্বে আসতে পারে। সাম্প্রদায়িক শক্তি থেকে যারা আসে, চিহ্নিত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, চিহ্নিত ভূমি দস্যু, যাদের ইমেজ খারাপ যাদের রাজনীতি জনগণের কাছে খারাপ, এই ধরনের অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রধানমন্ত্রী নিজের তত্ত্বাবধানে তৈরি করেছেন এবং তার কাছে এই তালিকা আছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তালিকাটি প্রধানমন্ত্রী দলীয় কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। সেই তালিকা বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। যাতে সারাদেশে এখন যে সম্মেলন হচ্ছে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন একটি নেতৃত্ব আসে। এই নেতৃত্বে যাতে অনুপ্রবেশকারী বা বিতর্কিত বা অপকর্মকারীরা আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সেই তালিকায় দেড় হাজারের মত নাম রয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন আরও গতি পাবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বব্যাংকও একটি প্রকল্প দিচ্ছে। এখন আমরা আটঘাট বেঁধেই নেমেছি। অবকাঠামোগত সমস্যাও কোথাও নেই। উন্নয়ন যথেষ্ট হয়েছে। শৃঙ্খলা না থাকলে এই উন্নয়নের কোনো দাম নেই। তাই শৃঙ্খলাটা এখন বড় সংকট।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক সবুজ উদ্দিন খান, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুল ওহাব মিয়া, পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।