ধর্ষণে অভিযুক্ত উপজেলা চেয়ারম্যানকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।

রং নাম্বারে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে এক বিউটিশিয়ানকে দেড় মাস ধরে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ খবর তার (ফারুক) নিজ উপজেলায় ছড়িয়ে পরলে রোববার রাতেই আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা মিস্টি বিতরণ করে দাবী করেছেন আওয়ামী লীগ থেকে কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস জানান, গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ঢাকার ভাটারা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে রোববার জেলা আওয়ামী লীগের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ অক্টোবর গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার ভাটারা থানায় এক যুবতী মামলা দায়ের করেন। ওই যুবতী অভিযোগ করেন, বিয়ের প্রলোভনে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ ফ্ল্যাটে নিয়ে গোলাম ফারুক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে।

সস্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হলে সে নানা কৌশলে এড়িয়ে যান। উপায়ন্তু না পেয়ে ওই যুবতী ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

গোলাম ফারুকের বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার ডান্ডোয়াট গ্রামে। গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়েরের পর বরিশাল ও বানারীপাড়ার রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান জানান, ঢাকার পল্লবী এলাকার বাসিন্দা মামলার বাদি ওই যুবতীর ইতোমধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

Share this post

scroll to top