ঢাকাFriday , 10 May 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শ্রীলঙ্কায় খ্রিষ্টান স্কুলে মুসলিম শিক্ষিকাদের প্রবেশে বাধা

Link Copied!

হিজাব পরে স্কুলে যাওয়ার কারণে ১১ জন মুসলিম শিক্ষিকাকে শ্রীলঙ্কার একটি খ্রিষ্টান স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। রাজধানী কলম্বো থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুওয়াকপিতিয়া তামিল মহাবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার।

ওই শিক্ষিকারা স্কুল চত্বরে উপস্থিত হলে স্কুলের উন্নয়নবিষয়ক সোসাইটির অভিভাবক সদস্যরা ও সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়। ওই শিক্ষিকাদের বলা হয়, তারা যদি শাড়ি পরে আসেন তাহলেই মাত্র তাদের স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। এ নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে দেশটির ওয়েস্টার্ন প্রদেশের গভর্নর আজাথ স্যালি এতে হস্তক্ষেপ করেন। তিনি ওই শিক্ষিকাদের অন্য একটি স্কুলে স্থানান্তরিত করেন।

এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার তিনটি খ্রিষ্টান চার্চ ও তিনটি অভিজাত হোটেলে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২৬৮। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষিকাদের সাথে ওই আচরণ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, মুসলিমদের ওপর সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে হামলার খবর পাওয়া যাচ্ছে মাঝে মাঝেই।

উল্লেখ্য, ওই হামলার পর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা নেকাব পরা বা মুখ ঢেকে রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তবে সুনির্দিষ্ট করে এতে আবায়া অথবা হিজাব পরার ওপর কোনো বিধিনিষেধ দেয়া হয়নি।

নিষিদ্ধ করা শিক্ষিকাদের পক্ষে ফাতিমা সাফিনা আরব নিউজকে বলেছেন, তিনি ওই স্কুলে ৬ বছরের বেশি শিক্ষকতা করছেন। তাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এতে তারা অপদস্ত বোধ করছেন। তিনি বলেন, হিজাব আমার ইসলাম ধর্মীয় রীতির পোশাক। তারা এটা পরিবর্তন করে শাড়ি পরতে বলতে পারে না। এটা মানবাধিকারের লঙ্ঘন।

আরেকজন শিক্ষিকা ফাতিমা আফ্রা। তিনি বলেন, তিনি এবং অন্য মুসলিম শিক্ষকদের ওই স্কুল চত্বর থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অন্য সহকর্মীরা মিলে তাদের বের করে দিয়েছে। এই বিব্রতকর অবস্থায় তারা আর সেখানে ফিরে যাননি। তিনি আরো বলেন, স্কুলটি একটি অমুসলিম স্কুল হওয়া সত্ত্বেও ক্লাসে পড়ানোর সময় আমি কখনো এমন বৈষম্য দেখিনি। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রাদেশিক শিক্ষাবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তাদের মঙ্গলবার বৈঠকে তলব করেন গভর্নর আজাথ স্যালি। ডেকে নেয়া হয় শিক্ষিকাদের। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ওই শিক্ষিকাদের অন্য একটি স্কুলে স্থানান্তর করা হবে।

পুওয়াকপিতিয়া তামিল মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল পি. মনোহরণ আরব নিউজকে বলেছেন, তার স্কুলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮০০। আছেন ৪১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগই খ্রিষ্টান। তবে তার স্কুলে ওই ঘটনা সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই বলে জানান পি মনোহরণ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।