বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনকে ডিজিটাল পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে দেশের সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএম নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকবে। কিছু ভুল ভ্রান্তিও হবে। তবুও ইভিএম এর ব্যবহার করা হবে। কারণ সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইভিএম ব্যাবহারের বিকল্প নাই।
বুধবার দুপুরে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফরিদপুরের সদর উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার একথা বলেন। সিইসির এ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সদর উপজেলার ৩ লাখ ৩৬ হাজার ১০৪ জনের স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ কার্যক্রমের শুরু হলো।
সিইসি বলেন, স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র হলো নাগরিকের তথ্যভান্ডার। এর মধ্যে ২৬ ধরণের তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। নাগরিক জীবনে স্মার্ট কার্ডের গুরুত্ব অনেক। দেশের এক কোটি ৪১লাখ নাগরিককে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে বলে এসময় তিনি জানান।
রোহিঙ্গাদের ভুল তথ্য দিয়ে ভোটার হওয়া প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, রোহিঙ্গারা যখন এদেশে প্রবেশ করেছে তার কিছুদিন পরই সব রোহিঙ্গাদের দশ আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে রেখেছে সরকার। তাই ইচ্ছা করলেই ভুল নাম বা ভুল তথ্য দিয়ে রোহিঙ্গারা ভোটার হতে পারবে না।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম মোল্লার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফরিদপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার, ফরিদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ লোকমান হোসেন মৃধা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুজ্জামান, জেলা নির্বাচন অফিসার নায়বুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আমীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পরে প্রধান অতিথি উপস্থিত কয়েকজনের মাঝে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় বিতরণ করেন।
ফরিদপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ২৫ এপ্রিল২ ২০১৯ থেকে ২৮ আগষ্ট ২০১৯ পর্যন্ত সদর উপজেলার ৩লাখ ৩৬ হাজার ১০৪ জন ভোটারদের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র বিতরন করা হবে।