তামাক পণ্যের বিজ্ঞাপন, বিপনন ও প্রদর্শন নিয়ে জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উঠে এসেছে গ্রাম পর্যায়ে কিভাবে তামাক আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে। জরিপের অংশ নেয়া কর্মকর্তারা জানালেন, তাদের নানা বৈচিত্রপূর্ণ অভিজ্ঞতার কথা। গ্রামে তামাকের পণ্যের ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দেয়া হয় লোভনীয় অফার। এক কর্মকর্তা জানালেন, অনেক এলাকাতে সিগারেট খেলে ক্রেতাকে ফ্রিজ উপহার দেয়ারও ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট কোম্পানি ক্রেতা ধরতে নামীদামি পণ্যের অফারও দিচ্ছে হরহামেশাই ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও ক্যাম্পেইন ফল টোবাকো ফ্রি বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এর অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাজেট উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহম্মদ রুহুল কুদ্দুস, উপসচিব খন্দকার জাকির হোসেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্ট্র্রি টোবাকো প্রোগ্রামের কো অর্ডিনেটর ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, তামাক আইনের বেশি কিছু ক্রুটি আছে সেগুলো সংশোধনের দাবি আমরা সরকারের কাছে জানিয়েছি। এছাড়া সামাজিকভাবে জনসচেনতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমাদের প্রচার প্রচারণা বাড়াতে হবে।
জরিপে অংশ নেয়া মাঠ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তামাক আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে এখনো কোম্পানিগুলো তাদের পণ্যের প্রচার আর বিজ্ঞাপন চালিয়ে যাচ্ছেন। কোন সিগারেট কোম্পানি নির্দিষ্ট সংখ্যক সিগারেটের খালি প্যাকেট জমা দেয়া সাপেক্ষে টিভি ফ্রিজ দেয়ারও অফার করছে। কিন্তু আইনশৃংখলা বাহিনী সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করছে। অভিযোগ করেও কোনো ফল পাওয়া যায় না। বক্তারা আরো বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকের ব্যবহার শতকরা ৫ ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে।