বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লি. (মিল্ক ভিটা) রামগঞ্জ দুগ্ধ কারখানা স্থানান্তরের প্রতিবাদে উপজেলার অর্ধশত দুগ্ধ খামারী সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে।
আজ শুক্রবার সকালে রামগঞ্জ পৌর শহরের কমরদিয়া মিল্ক ভিটা কারখানার সামনে খামারীরা ঘন্টাব্যাপী এ বিক্ষোভ করেন।
মিল্কভিটা রামগঞ্জ দুগ্ধ কারখানা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল মিল্ক ভিটার উপ-সচিব মো: শামছুল আলম স্বাক্ষরিত স্থানান্তর সংক্রান্ত একটি চিঠি রামগঞ্জ উপজেলা দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়। চিঠিতে উপজেলা দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের ফার্মকুলার ও জেনারেটর পাংশা উপজেলায় স্থানান্তর করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রামগঞ্জ উপজেলা অর্ধশত দুগ্ধ খামারী আজ শুক্রবার ভোর থেকে রামগঞ্জ উপজেলা দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ সংক্রান্ত একটি চিঠি নিয়ে ঢাকা থেকে মিল্ক ভিটার সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক মান্নাফ আহম্মেদসহ চারজন কর্মকর্তা ট্রাকযোগে ঘটনাস্থলে এলে খামারীদের তোপের মুখে পড়েন তারা।
এসময় খামারীরা রামগঞ্জ-শ্রীরামপুর ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে স্থানান্তরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
বিক্ষোভের একপর্যায়ে রামগঞ্জ উপজেলা দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের অতিরিক্ত (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ডা: ফরহাদ আহম্মেদ কৌশলে অফিস ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে সবুজ বাংলা কেন্দ্রীয় দুগ্ধ সমবায় সমিতি লিমিটেডের রামগঞ্জ শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন সেলিম জানান, আমরা গত ১০ বছর থেকে এখানে দুধ সরবরাহ করে আসছি। কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে খামার স্থাপন করেছি। একটি চালু কারখানা কোনো কারণ ছাড়া স্থানান্তর হলে আমাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
মাঝিরগাঁও দুগ্ধ সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আনোয়ার কবির বাচ্চু জানান, আমাদের ৩শ’ লিটারের চাহিদা দেয়া হলেও খামারীদের ১ হাজার লিটার দুধ দেয়ার জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। অথচ অনেক স্থানে কারখানা বন্ধ হয়ে গেলেও একটি চালু কারখানা স্থানান্তর প্রক্রিয়া ষড়যন্ত্র।
এ ব্যপারে রামগঞ্জ দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা: ফরহাদ আহম্মেদ মোবাইলে জানান, ‘আমি মৌখিকভাবে কেন্দ্র থেকে জেনেছি। আমি বর্তমানে রায়পুরে রয়েছি। পরে কথা বলবো।’
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করীম জানান, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আমাকে কেউ অবগত করেনি।’