সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে সদ্য ক্ষমতায় বসা সেনাবাহিনী কাউন্সিলের জারি করা কারফিউ অগ্রাহ্য করে রাতভর রাস্তায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছে বিপুলসংখ্যক মানুষ। খবর বিবিসির।
মাসব্যাপী চলা জনগণের বিক্ষোভের মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার সুদীর্ঘকাল দেশটির শাসনক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে দিয়ে গ্রেফতার করে শাসনভার নিয়ন্ত্রণে নেয় সেনাবাহিনী। পরে জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়ে কারফিউ জারি করে তারা।
বিবিসি জানায়, সেনাবাহিনীর জারি করা কারফিউ প্রত্যাখ্যান করে রাজধানী খার্তুমের রাস্তায় অবস্থান নেয় বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা সেনাশাসনকে পূর্বতন শাসনব্যবস্থার অংশ হিসেবে দাবি করতে থাকে। তারা জনগণের সরকারের জন্য লড়াই করছে।
চলমান এ অচলাবস্থা বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনীকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অপরাপর নিরাপত্তা বাহিনী ও মিলিশিয়ার একটি অংশ এক অপরের প্রতি বন্দুক তাক করতে পারে, তেমন বিপদের আশঙ্কাও আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের আফ্রিকাবিষয়ক সম্পাদক উইল রস।
এ অবস্থায় জাতিসঙ্ঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সব পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
গতকাল ৭৫ বছর বয়সী প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের পর শুরুতে আন্দোলনকারীদের উৎসবমুখর দেখা যায়। কিন্তু সেনাবাহিনীর শাসনক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের সংবাদে কিছু পরেই সে উদযাপন উবে যায় এবং বিক্ষোভকারীরা সেনাসদরের বাইরে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
সুদান পেশাজীবী সঙ্ঘের সদস্য সারা আবদেল জলিল বলেন, ‘এটা একই শাসনব্যবস্থার ধারাবাহিকতা। ফলে এর প্রতিরোধে শান্তিপূর্ণভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া আমাদের কাজ।’
ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে পশ্চিম সুদানের পশ্চিম দারফুর এলাকায় মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধে ভূমিকা রাখার দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতারের পর এখন তার ভাগ্যে কী ঘটবে, তা স্পষ্ট নয়।