মোদির বায়োপিকে নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা

ভারতের নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমার (বায়োপিক) উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। ভারতের বিরোধী দলগুলো আগেই অভিযোগ করেছিল এভাবে নিজের প্রচার করছেন মোদী।

অবশ্য আগের দিন মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ছবি মুক্তি বাতিলের আবেদন খারিজ হয়েছিল। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায় সিবিএফসির উপর (সেন্সর বোর্ড) দিয়েছিল আদালত। এরপর বুধবার সকালেই ছবিটিকে ছাড়পত্র দিয়েছিল সেন্সর বোর্ড; কিন্তু শেষপর্যন্ত ছবিটি থামিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মুক্তির ঠিক আগের দিন নির্বাচন কমিশন ছবিটি মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল।

বৃহস্পতিবার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ছবিটি। আর এদিন থেকেই শুরু হচ্ছে ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচন। মঙ্গলবার এক কংগ্রেস নেতা ছবির মুক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন; কিন্তু শীর্ষ আদালত জানায় এটি জরুরী বিষয় নয়। এর জন্য সময়ের অপচয় করা যায় না।

ছবিটি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে অনেক দিন ধরেই। নিষেধাজ্ঞা দিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ‘রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কোন ব্যক্তির বায়োপিক তৈরি হলে, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে সেটা ‘লেভেল প্লেয়িং’-এর ক্ষেত্রে বাধার কারণ হয়। নির্বাচনী আচরণবিধির নিরিখে কোনও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এইধরনের সিনেমাটোগ্রাফ প্রদর্শিত হওয়া উচিৎ নয়’।

এই মুহূর্তে এই বায়োপিক মুক্তি পেলে নির্বাচনে বিশেষ কোনও একটি দল বাড়তি সুবিধে পেয়ে যাবে এই কারণ দেখিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিকের মুক্তি বন্ধ করল নির্বাচন কমিশন।

ছবিটি শুরুতে ৫ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেন্সর ছাড়পত্র না পাওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। ছবিটির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়েন। ভোটের বাজারে বিরোধীরা এই ছবিটিকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আক্রমণ করেছেন। উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত চলবে আর তার মধ্যেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবির।

নরেন্দ্র মোদির ছোটবেলা থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া পর্যন্ত যাত্রাপথকে দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। বায়োপিকে বিবেক ছাড়াও রয়েছেন বোমান ইরানি, বরখা বিস্ত, দর্শন কুমার, জরিনা ওহায়াব, মনোজ যোশী ও আরও অনেকে।

এই ছবিতে মোদীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিবেক ওবেরয়। গত সপ্তাহে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, কংগ্রেস কাকে ভয় পাচ্ছে? ওরা কি ছবি টাকে ভয় পাচ্ছে না চৌকিদারের ডান্ডাকে। অন্যদিকে কংগ্রেস বলে এটি বাজে লোকের তৈরি, বাজে লোকের অভিনীত একটি বাজে ছবি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top