এইচএসসি, আলিম এবং সমমান পরীক্ষা চলাকালে গাড়ি চলাচল না করতে নির্দেশ দেয়ার পরও তা মানছে না এনজিওগুলো। তাই শেষ পর্যন্ত রাস্তায় নেমে নিজেই এনজিওর গাড়িগুলো আটকে দিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী।
আজ সোমবার সকাল পরীক্ষা শুরুর প্রাক্কালে এ দৃশ্য দেখা যায়।
জানা গেছে, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওগুলোর গাড়ি চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হয়ে চলমান এইচএসসি, আলিম এবং সমমান পরীক্ষার্থীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়ে পরীক্ষার্থীরা। এর ফলে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় সকাল ৯ থেকে ১০টা পর্যন্ত এনজিওর গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ রাখতে সর্বমহল থেকে দাবি জানানো হয়। এই দাবির প্রেক্ষিতে নিকারুজ্জামান চৌধুরী মৌখিকভাবে এনজিও সংস্থাগুলোকে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় গাড়ি চলাচল না করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু এ নির্দেশ মানছে না তারা। ফলে আজ সোমবার নিজেই রাস্তায় নেমে চলাচল করা এনজিওর গাড়িগুলোকে আটকে দিলেন ইউএনও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার পর ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী উখিয়া সদর এলাকায় এসে গাড়ি থেকে রাস্তায় অবস্থান নেন। এসময় তিনি চলাচল করা এনজিওর গাড়িগুলো আটক করেন। তিনি প্রায় আধা ঘন্টা সড়কে অবস্থান করে গাড়িগুলো আটকান। আটকানো গাড়িগুলো উপজেলা পরিষদ মাঠে পার্কিং করে রাখেন।
এ রকম ভূমিকায় সর্বস্তরের মানুষ ইউএনওর প্রশংসা করছেন।
এই ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় এনজিওর গাড়িগুলো চলাচল করে। এত সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। যানজটে পড়ে পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে কেন্দ্রে প্রবেশে বিঘ্ন হচ্ছিল। এর প্রেক্ষিতে ওই সময় গাড়ি চলাচল না করতে এনজিও সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা নির্দেশ না মেনে গাড়ি চলাচল অব্যাহত রাখে। তাই নিজেই নেমে গাড়িগুলো আটকে দিয়েছি। সামনের পরীক্ষার দিনে এমনটি করা হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার হুশিয়ারি দিয়েছি।’