যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের মুসলিম সদস্য ইলহান ওমর লস অ্যাঞ্জেলসে একটি সম্মেলনের সময় বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তুতে ছিলেন। গত মাসে কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স একটি হোটেলে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। দ্য ব্লাস্ট নামের একটি নিউজ সাইট এ খবর দিয়েছে।
সম্মেলনের কয়েক দিন আগে হোটেলটিতে এ হামলার হুমকি দেয়া হয়। গত বুধবার দ্য ব্লাস্টের খবরে বলা হয় এক মহিলা ভয়েসমেইলে হোটেলটিকে বলে, ‘আপনাকে যদি বলা হয় আপনার হোটেলটিতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটবে তখন আপনি কী করবেন? এ অবস্থায় ইলহান ওমরের মতো ব্যক্তিকে হোটেলে প্রবেশের অনুমতি দেয়া কি ঠিক হবে। তিনি আপনার হোটেল ও আমেরিকান সমাজের জন্য একটি বিপদ। আপনি যদি নিজের নিরাপত্তাকে মূল্য দেন তবে তাকে হোটেলে প্রবেশ করতে দিবেন না। ইভেন্টটি বাতিল করুন।’
তবে হুমকি সত্ত্বেও মিনেসোটার আইনপ্রণেতারা ইভেন্টের বিষয়ে কথা বলতে হোটেলে গিয়েছিলেন। যখন বিক্ষোভকারীরা বাইরে বিক্ষোভ করছিলেন। ইলহান ওমর ইসরাইলকে সমালোচনা করায় সেটিকে কিছু লোক এন্টিসেমিটিক বলে মনে করে।
ইলহান ওমর ইসরাইলকে উদ্দেশ করে গত মাসের প্রথম দিকে এক সভায় বলেছিলেন, আমেরিকানদের মধ্যে বিদেশীদের আনুগত্য করার প্রবণতা রয়েছে। এর আগে তিনি টুইটারে দেয়া এক বার্তায় দাবি করেন, ইসরাইলের প্রতি মার্কিন আইন প্রণেতাদের অব্যাহত সমর্থনের মূল চালিকাশক্তি হলো ইহুদিবাদী লবিদের দান করা মোটা অঙ্কের অর্থ। তিনি বুঝিয়েছেন, ইহুদি লবি আমেরিকান-ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির (এআইপিসি) কাছ থেকে বিপুল অর্থ পাওয়ার কারণেই মার্কিন আইন প্রণেতারা অব্যাহতভাবে ইসরাইলকে সমর্থন করে। প্রসঙ্গত এআইপিসি নামক সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিদের স্বার্থ দেখভাল করে।
এই মন্তব্যগুলো ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কিছু কংগ্রেসম্যান এ মন্তব্যকে সেমিটিক-বিরোধী হিসেবে তুলে ধরেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইহুদি-বিদ্বেষের নিন্দা জানিয়ে একটি রেজ্যুলেশন পাস করে প্রতিনিধি পরিষদ। পরে অবশ্য ইলহান ওমর তার মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তিনি বলেন, ‘আমি ইসরাইলের সাথে আমেরিকার সম্পর্ককে ভুলভাবে চিহ্নিত করছি না।’
তিনি টুইট করেন, ‘কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে আমার প্রথম দু’টি কাজ ছিল অ্যান্টি সেমিটিজম বিরোধী যুদ্ধের বিশেষ দূতের মর্যাদা বাড়াতে আনা একটি বিলের সহউপস্থাপক হওয়া এবং আমি নির্বাচিত হওয়ার পর আমার প্রথম মন্তব্য কলাম ছিল বিদ্বেষমূলক অপরাধ বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে।
