প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে।
ছেলের বান্ধবীকে ধর্ষণ এবং ঘটনাচিত্র মুঠোফোনে ভিডিও করে ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের কেরাণী শাজাহান বাদশা। সম্প্রতি ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। থানায় দায়ের করা হয় একটি মামলা।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে নওগাঁর সাপাহার উপজেলা থেকে অভিযুক্ত শাজাহান বাদশাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
জানা যায়, অভিযুক্ত শাজাহান চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেলকুপি এলাকার একরামুল হকের ছেলে এবং তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেরাণী। তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল এবং নগদ টাকাও উদ্ধার করেছে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ র্যাব-৫ ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার সাঈদ আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, ২০১৩ সালে তেলকুপি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে শাজাহান। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শাজাহানের ছেলের বান্ধবী। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করে তাকে ব্ল্যাকমেইল করে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলো।
পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে প্রথমে বিষয়টি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। কিন্তু সেখানে কোনও সুরাহা না পাওয়া গেলে গত ১৮ মার্চ বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী এবং ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। ওই দিনই নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর ভাই বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর এলাকা ছেড়ে পালায় শাহজাহান বাদশা।
অবশেষে পাশের জেলা নওগাঁ থেকে শুক্রবার তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।