ঢাকাSaturday , 16 March 2019
  1. Correspondent
  2. English News
  3. আজকের ময়মনসিংহ
  4. আদালত
  5. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  6. ইসলাম ও জীবন
  7. এক্সক্লুসিভ ময়মনসিংহ
  8. করোনা আপডেট
  9. করোনায় সহযোগীতা
  10. খেলার সংবাদ
  11. চাকুরী
  12. ছবি গ্যালারী
  13. জাতীয় অহংকার
  14. জাতীয় নির্বাচন ২০১৮
  15. জাতীয় সংবাদ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

`নিজের চোখে এসব দেখতে কেমন লাগে, কল্পনাও করতে পারবেন না’

Link Copied!

নিউজিল্যান্ডের মসজিদে সিনেমা স্টাইলে হামলা চালিয়ে ৪৯ মুসল্লিকে হত্যাকরা কট্টর ডানপন্থী এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ক্রাইস্টচার্চে যে মসজিদে কাল সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, সেখানে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দল নিরাপদে ফিরতে পারলেও হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশিও রয়েছেন। বাংলাদেশ দলের বাস আর পাঁচ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছালেই সর্বনাশ হতো। কারণ, ক্রিকেটাররা তখন সন্ত্রাসী হামলার সময় মসজিদের ভেতরেই থাকতেন। তাহলে কী হতে পারত, আর যা দেখেছেন—দুটি মিলিয়ে বাসের মধ্যে দলের অনেকেই অঝোরে কাঁদতে শুরু করেন। বাসে থাকা মুমিনুল হক তখনকার ভয়ানক পরিস্থিতি খুলে বলেছেন সংবাদমাধ্যমকে। তাঁর মুখেই শুনুন—

‘আমরা মধ্যাহ্নভোজ সেরে বের হয়েছিলাম। অনুশীলন ছিল ২টায়। দেড়টায় যাওয়ার কথা ছিল। (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলনের জন্য একটু দেরি হয়েছে। মিনিট দশেক পর বের হয়েছি। মুশফিক ভাই, তাইজুল ও আমি মাঝে-মাঝে ড্রেসিং রুমে ফুটবল খেলি নিজেদের মধ্যে। এতে আরও দুই-এক মিনিট দেরি হয়েছে। মসজিদে পৌঁছানোর পর দেখি সবাই পরে আছে। ফোনে ব্যস্ত এক মহিলা বের হয়ে এসে ভেতরে যেতে নিষেধ করলেন। গাড়ি থেকে আরেক মহিলা চিৎকার করে একই কথা বললেন, ভেতরে যেও না, কে যেন গুলি করছে। আমরা তখনই বুঝে ফেলি কেমন পরিস্থিতি।’

‘আমরা বাসের মধ্যে পাঁচ-দশ মিনিট বসে ছিলাম। তখন পাইলট ভাই (ম্যানেজার) ফোনে কার সঙ্গে যেন কথা বলছিলেন। পেছন থেকে তামিম ভাই এলেন, আমরা বাসের ড্রাইভারকে জানালা খুলতে বলি। দেখলাম বেশ কিছু লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা বাসের পেছনের দরজা খুলে পার্কের মধ্য দিয়ে হেঁটে চলে আসি। আমরা পাঁচ মিনিট আগে মসজিদে পৌঁছালে ভেতরে থাকতাম এবং সবাই শেষ হয়ে যেতাম। পরম করুণাময়ের অশেষ রহমত যে পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌঁছেছি।’

‘মসজিদে গেলে আমরা পেছনের দিকেই বসতাম এবং সে আমাদের কাউকে জীবিত রাখত না। কোনো বাছবিচার ছাড়াই টানা গুলি করেছে। আমরা এত ভয় পেয়েছি যে বাসের মধ্যেই কেঁদেছি। এই ঘটনার মধ্যে আমরা বাস পেছাতে বলেছি ড্রাইভারকে। কিন্তু ড্রাইভার বলেছে তা সম্ভব না, এ ধরনের কোনো নির্দেশ নেই। আমি মুশফিক ভাইয়ের সাথে সম্ভবত দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সারিতে ছিলাম। বাস থেকে দেখেছি, মসজিদ থেকে সবাই বের হয়ে আসছেন এবং মেঝেতে পড়ে যাচ্ছেন। তাদের শরীর ছিল রক্তমাখা। এর আগে ক্রাইস্টচার্চে থাকতে আমরা এই মসজিদেই নামাজ পড়েছি।’

‘কাল রিয়াদ ভাই জানতে চেয়েছিলেন, নামাজ পড়ে খাব, নাকি খেয়ে নামাজ পড়তে যাব? আমরা সিদ্ধান্ত নিই অনুশীলন যেহেতু জুমার পর, তাই নামাজ পড়ে এসেই খাব। কিন্তু কোনোভাবে সিদ্ধান্তটা পাল্টে যায়, আমরা খেয়ে মসজিদে গিয়েছি এবং এ কারণেই হয়তো বেঁচে যাই। আমরা কী পরিমাণ ভীত ছিলাম, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। নিজের চোখে এসব দেখতে কেমন লাগে, তা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।’

‘শুধু ভীত হয়ে পড়ার জন্যই আমরা কেঁদেছি। আসলে আমরা বেঁচে গেছি গাড়ির ভেতরে থাকা সেই মহিলার জন্য, যিনি আমাদের মসজিদের ভেতরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। প্রথম মহিলা বলার পর আমরা ভেবেছি তিনি অসুস্থ। কারণ নিউজিল্যান্ডে এমন কিছু ঘটতে পারে, আমাদের বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু গাড়ির মহিলা জানালা দিয়ে সাবধান করে দেয়ার সাথে জানান, তার গাড়িতেও বুলেট লেগেছে—ঠিক তখনই আমরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরেছি।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।