সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের সরকার দেশটির ইদলিবে নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস বোমার হামলা চালিয়েছে। বেসরমারিক প্রতিরক্ষা সংস্থা হোয়াইট হেলমেট এ সংবাদ জানিয়েছে। ইদলিবে হোয়াইট হেলমেট সংস্থার প্রধান মুস্তাফা হাজ ইউসুফ জানান, সরকারি বাহিনী হামা প্রদেশের আবু দালি গ্রামে অবস্থান নিয়েছে এবং ইরান সমর্থিত বিদেশী বাহিনী ইদলিবের দক্ষিণাঞ্চলে হোয়াইট ফসফরাসের এ হামলা চালায়।
ইউসুফ বলেন, দুই দফায় ৪০টির মতো হোয়াইট ফসফরাস বোমা নিক্ষেপ করা হয়। আনাদোলুর হাতে থাকা ফুটেজে স্পষ্টভাবে হোয়াইট ফসফরাসের ব্যবহার বুঝা গেছে। তবে এ হামলায় হতাহতের পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
কোনো হামলার ক্ষেত্রে হোয়াইট ফসফরাসের ব্যবহার আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ। কারণ ফসফরাসের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ব্রেন ও ফুসফুস খুবই খারাপভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে। যে এলাকায় এ হামলাটি চালানো হয়, হামলার আশঙ্কায় আগে থেকেই ওই জায়গাটি প্রায় খালি ছিল।
বাশার সরকার গত বছরের মার্চে পূর্ব গৌতাতে এ বোমার হামলা চালিয়েছিল। ইদলিবের এ এলাকায় এ বছরের শুরু থেকে সরকারি হামলায় এ পর্যন্ত ১২৪ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৩৬২ জন আহত হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তুরস্ক ও রাশিয়া এক সমঝোতার পরিপ্রেক্ষিতে ইদলিবকে একটি অসামরিক এলাকা ঘোষণা করতে সম্মত হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান রাশিয়ার সোচিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের পর তাদের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।
২০১১ সাল থেকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলে আসছে। এতে দুই পক্ষের লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার মতো পরাশক্তির পাশাপাশি ইরান, লেবানন, তুরস্কসহ আরো কয়েকটি দেশ। সম্প্রতি বিদ্রোহীদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে সেখানে যুদ্ধ মোটামুটি শেষ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রও দেশটি থেকে নিজেদের সৈন্য তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আট বছরব্যাপী এ গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার লোক নিহত হয় এবং এক কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে বলে জানায় জাতিসঙ্ঘ।