রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আজ সব জায়গায় মানুষ অকারণে জীবন হারাচ্ছে। এর কারণ হলো সরকারের দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থা।’
‘রাষ্ট্রকে সঠিকভাবে পরিচালনার সৎ ইচ্ছা তাদের নেই। তারা চায় যেকোনো ভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা শহীদ শফিউর রহমান ও আবুল বরকতের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ চকবাজারে দুর্ভাগ্যবশত যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সেই অগ্নিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শোক জানাচ্ছি, সমবেদনা জানাচ্ছি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একই সাথে ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের জাতীয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য দিন। ১৯৫২ সালের এদিনে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষায় পরিণত করার জন্য আমাদের অকুতোভয় সন্তানরা প্রাণ দেয়। রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে নেয়। সেদিনই আমাদের মুক্তির যে চেতনা তার বীজ রোপণ হয়। এরপর ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড লাভ করি।
তিনি বলেন, আজ আমাদের চরম দুর্ভাগ্য ও ক্ষোভের বিষয় হলো এই যে, আমাদের ভাষা আন্দোলন, ৫২-এর যে চেতনা তা ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। ৫২-এর মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্রের, আমাদের বাক স্বাধীনতার যে স্বাধীনতা সেটিও সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। যা এদেশের কারও কাঙ্ক্ষিত নয়।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ যিনি গণতন্ত্রের মাতা, যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, সংগ্রাম করেছেন; তাকে শেষ বয়সেও মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আমরা এদিনে তার মুক্তির দাবি করছি। হাজারও গণতন্ত্রের সৈনিক, যাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয়েছে, সেসব নেতাকর্মীর অবিলম্বে মুক্তি চাই এবং তাদের মিথ্যা মামলাগুলো প্রত্যাহার চাই।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, জনগণের অধিকার হনন করে ৩০ ডিসেম্বর যে নির্বাচন হয়েছে, সে নির্বাচনকে বাতিল করে একটি নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা পুনঃনির্বাচন দাবি করছি।