প্রায় ৫ বছর পর অপেক্ষার পর চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই শেষে ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩ জনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সুপারিশ অনুযায়ী স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এসে তাদেরকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। স্বীকৃতিপ্রাপ্তদের মধ্যে অনেকে ইতিমধ্যে মারা গেছেন। মন্ত্রণালয় বলছে, গেজেটভুক্ত হওয়ার পর তারা মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রাপ্ত হবেন। তবে গেজেটভুক্তদের মধ্যে যারা মারা গেছেন তাদের অবর্তমানে পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধার ভাতাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
ময়মনসিংহ বিভাগের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ৩৩জন হলেন- ময়মনসিংহ সদরের শাহজাহান, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঃ কদ্দুছ, তাহির উদ্দিন, ত্রিশাল উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক, আতাউর রহমান, আহামদ আলী, খন্দকার মোঃ জুলফিকার, মৃত মনির উদ্দিন মন্ডল, শামছুদ্দিন সরকার, মীর মোশারফ হোসেন (বাবুল), মঞ্জুরুল হক, মকবুল হোসেন, কাজী আব্দুর রশিদ, গৌরীপুর উপজেলার ইদ্রিস আলী বেপারী, এ, কে, এম, শামছুল হক, ফুলবাড়ীয়া উপজেলার মৃত মমতাজ উদ্দিন মন্ডল, মৃত নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, ফজলুল হক চৌধুরী, কুতুব উদ্দিন, সুরুজ মিয়া, শেরপুর শ্রীবরদী উপজেলার আবু বক্কর, কেন্দুয়া উপজেলার শেখ সাইফুল হক, খালিয়াজুরীর রুস্তম আলী, কলমাকান্দা উপজেলার মজিবুর রহমান, জামালপুর মেলান্দহ উপজেলার মৃত আফছার উদ্দিন, মুহাম্মদ ছাদুল্যাহ, মিজানুর রহমান তালুকদার, নজরুল ইসলাম, শাহজাহান, সরিষাবাড়ী উপজেলার নজরুল ইসলাম তরফদার, মকবুল হোসেন, নুরুল ইসলাম, আন্দাল পারভেজ সিরাজী, চাঁদপুর সদর প্রান গোপাল সাহা, মোঃ আমীর আলী চৌধুরী, মোঃ শাহশাজান ভূইয়া, মৃত বজলুল গনি, আবিদ মিয়া, আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী, আবু তাহের পাটওয়ারী, মোবারক হোসেন ঢালী, মৃত হাজী আঃকরিম খান, আব্দুল কাদের মাস্টার, জয়নাল বেপারী, অনিল চন্দ্র বসু, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, এম এম সিদ্দিকুর রহমান, মনোরঞ্জন ঘোষ, শেখ মনির আহমেদ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ও সরাসরি আবেদন করেছিলেন প্রায় দেড় লাখ ব্যক্তি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম দফায় তাদের মধ্যে থেকে সাড়ে তেরশ ব্যক্তিকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হয়।