ময়মনসিংহের নান্দাইলে ভালুকার এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালক সুমন মিয়া ওরফে বেকার সুমনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ফুলপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার সুমন উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কোনাবাঘাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করেন।
এ ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে মোটরসাইকেল চালক সুমন মিয়া ওরফে বেকার সুমন ও একই গ্রামের আমানুল্লাহকে আসামি করে মামলা করেছেন।
ভুক্তভোগী তরুণীর অভিযোগ, মোটরসাইকেল চালক সুমন প্রথমে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। পরে বাজার থেকে কিছুটা দূরে নির্জনে সুমন, আমানুল্লাহসহ কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করে মন্দিরের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ভিকটিম বর্তমানে বাবার বাড়ি ভালুকায় অবস্থান। ভিকটিম বলেন, এ ঘটনার রাতেই আমি খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টুর কাছে গিয়ে বিচার চাই। তিনি সহায়তা না করে হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। পরে নান্দাইল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনের বাধার কারণে পারিনি। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই। এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রোববার জানাজানি হয়।
তবে অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসনাত মিন্টু বলেন, আমি ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকা দিইনি। ওই তরুণী শুক্রবার রাতে আমার কাছে এসে বলে আমাকে টাকা দেন, আমি বাড়িতে যাব। পরে আমি তাকে ১০০ টাকা দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলি। তাছাড়া, ওই তরুণী তখন ধর্ষণের কোনো অভিযোগও আমার কাছে করেনি।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, প্রথমে ওই তরুণীকে খুঁজে না পাওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তরুণীকে উদ্ধার করার পর তার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান অভিযুক্ত সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।