প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঘরবন্দি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। যদিও গত কয়েকদিন ধরে সীমিত পরিসরে অনেক দেশের বাসিন্দারা ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন। তবে খোলা আকাশে নিচে আগের মতো নির্বিঘ্নে চলাচল করা যাচ্ছে না এখনই।
আর সবার মতো লকডাউনে ঘরবন্দি হয়েছেন শোবিজের তারকারাও। তাদের অনেকেই অবসাদে ভুগছেন। তবে তাদের মধ্যে ব্যতিক্রম ছিলেন তিনজন তারকা। যারা এই লকডাউনে ইসলাম ধর্ম বিষয়ে জ্ঞান লাভ করেছেন এবং পুরনো ধর্ম ত্যাগ করে ইসলামে দিক্ষিত হয়েছেন।
বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী এই তিন তারকা হলেন- কেনিয়ার জনপ্রিয় রেডিও উপস্থাপক, উদ্যোক্তা ও মডেল তানাশা দোনা বারবিয়ারি অকেচ, অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় রেসলিং তারকা উইলহেলম এবং জ্যামাইকার নামকরা নৃত্যশিল্পী লিসা মার্সেদেজ।
কেনিয়ার গণমাধ্যম নাইরোবি নিউজ জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালে গত এপ্রিলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কেনিয়ান মডেল তানাশা দোনা। মুসলিম হয়ে নিজের নাম রাখেন আয়েশা। গত ২৫ এপ্রিল ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং সেদিনই জীবনের প্রথম রোযা রাখেন তানাশা।
কেনিয়ার জনপ্রিয় এই রেডিও জকি ও মডেলের ‘ফর হার লাক্সারি হেয়ার’ নামক একটি হেয়ার ব্রান্ড রয়েছে।
করোনায় ঘরবন্দি থেকে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করে অভিভূত হন অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় রেসলার উইলহেলম। গত ১৬ এপ্রিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। সেদিন কালেমা পাঠ করে তার ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
ইনস্টাগ্রামের সেই পোস্টে তিনি লেখেন , করোনাকালে ঘরে বসে ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করেছি। এই পড়াশোনা আমাকে আমার বিশ্বাস খুঁজে পেতে সাহায্য করেছে। যখনই আমার কঠিন সময় ছিল তখনই ইসলামিক বিশ্বাস আমাকে শক্তি দিয়েছে। আমার ধর্মবিশ্বাস এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি আমার প্রকৃত সত্ত্বাকে চিনতে পেরেছি। আমি গর্বিত যে, কালেমা পাঠ করেছি। এখন থেকে আমি একজন মুসলমান।’
লকডাউনে তৃতীয় নওমুসলিম তারকা হলেন লিসা মার্সেদেজ। যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম মেট্রো জানিয়েছে, লকডাউন চলকালীন ইসলাম গ্রহণ করেন ব্রিটিশ জ্যামাইকার এই বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী। তবে দুই মাস পর ৩ মে ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করেন লিসা। এদিন ‘শাহাদা’ নামে একটি সঙ্গীত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহণের কারণে লিসা হুমকি পেয়েছেন বলে ড্যান্স হল ম্যাগ নামে স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।