ভালুকায় নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে : গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ফাতেমাকে

ভালুকায় নদী থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে : গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ফাতেমাকেময়মনসিংহের ভালুকার খারুয়ালী এলাকার ক্ষীরু নদী থেকে অর্ধগলিত উদ্ধারকৃত তরুণীর লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত তরুণী উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে কানিজ ফাতেমা (১৭)। এ ঘটনায় পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ আসামীদের স্বীকারোক্তি মতে জানিয়েছে, তরুণীকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হছে। ময়মনসিংহ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামীরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে।

এর আগে তরুনীর লাশটি গত রোববার বিকেলে উপজেলার কাঠালী গ্রামের কালেঙ্গারপাড় এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় লাশটি উদ্ধার কার হয়। লাশের পরণে শুধু জিন্সের প্যান্ট ছিলো। উচ্চতা প্রায় ৫ ফিট ২ ইঞ্চি। পঁচে গলে যাওয়ার কারণে গায়ের রং বুঝা যায়নি। রোববার রাতে নিহতের বাবা ওমর ফারুক খবর পেয়ে থানায় এসে নিহতের পরনে কাপড়-চোপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মেহেদী তখন জানিয়েছিলেন, ৩০ থেকে ৩৫ বছর বয়সী নারীর হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ৮ থেকে ১০ দিন পূর্বে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দুর্বৃত্তরা নদীতে ফেলে যেতে পারে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কানিজ ফাতেমা হালিমুন নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হয়। ফল প্রকাশের ২ দিন পর নানীর বাড়িতে ভালুকা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রোববার ক্ষীরু নদী থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত ৩ জুন রাত ৮টার দিকে কানিজ ফাতেমা ভালুকা বাজার হতে বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২৩) ও আইয়ুব আলী শেখের ছেলে জামাল হোসেন (২৫) তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষীরু নদী সংলগ্ন আজিজুল হকের বাগানের ভিতর নিয়ে ৪-৫ জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এ সময় কানিজ ফাতেমা চিৎকার শুরু করলে মনির ও জামালসহ অন্যরা বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে ফাতেমাকে হত্যা করে। পরে তার হাত-পা বেঁধে ক্ষীরু নদীতে ফেলে দেয়।

ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মনির হোসেন ও মো. জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Share this post

scroll to top