গফরগাঁওয়ে দুই লাশ উদ্ধার

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আবিদ (২৬) নামে বিদেশফেরত এক যুবক ও সাত্তার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরাগ গ্রাম থেকে গতকাল শনিবার রাতে সাত্তারের লাশ ও আজ রবিবার লংগাইর ইউনিয়নের পশ্চিম গোলাবাড়ি গ্রাম থেকে বিদেশ ফেরত আবিদের ফাঁসিতে ঝুলানো লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গফরগাঁও থানার রসুলপুর ইউনিয়নের ভরভরা গ্রামের সাত্তারের ছেলে মাজহারকে কয়েকদিন আগে একটি ভ্যানগাড়ি ভাড়া দেন প্রতিবেশী জয়নালের ছেলে কাঞ্চন মিয়া। কিন্তু মাজহার ভ্যান গাড়িটি গোপনে বিক্রি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাড়ির কাছে সাত্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন থানা পুলিশকে খবর দেন। রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আহম্মদ গফরগাঁও থানা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।

অন্যদিকে উপজেলার পাগলা থানাধীন লংগাইর ইউনিয়নের পশ্চিম গোলাবাড়ি গ্রামের মৃত আবুল মুনসুরের ছেলে আবিদ বিদেশে ছিলেন। কিন্তু সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলায় কর্তৃপক্ষ ৪ মাস পূর্বে তাকে দেশে ফেরত পাঠায়। প্রায় দেড় মাস আগে আবিদ বিয়ে করেন। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে স্ত্রীকে ঘুমে রেখে আবিদ দরজায় বাইরে থেকে সিটকিনি দিয়ে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আবিদের স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেলে দরজা খুলতে না পেরে বাড়ির লোকজনকে ডাকাডাকি করে জানান। পরে সবাই মিলে খোঁজে করেও রাতে আবিদের সন্ধ্যা পাননি। আজ রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে আকাশি গাছে গলায় ফাঁস লাগানো আবিদের লাশ ঝুলতে দেখে স্বজনরা পুলিশকে অবহিত করেন। পাগলা থানা পুলিশ রবিবার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

গফরগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকুল সরকার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অপমৃত্যু মামলা করেছেন। মামলা ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ঘটনার খোঁজ খবর নিয়েছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share this post

scroll to top