মার্চে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে

দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতিতে কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসের প্রভাব আপাতত প্রকাশ পাচ্ছে না। মার্চের মূল্যস্ফীতির হার সামান্য বেড়েছে। মার্চে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার হলো ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

খাদ্যে কমলেও খাদ্যবহির্ভূত খাতে সার্বিক, শহর ও গ্রাম সব জায়গাতেই বেড়েছে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ওয়েবসাইটের সর্বশেষ তথ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। আগের অর্থবছরে একই সময়ে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেশি ছিল।

ব্যুরোর প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, মার্চ মাসে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ।

গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে মার্চে হয়েছে ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ২৭ শতাংশ। যা ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, মার্চ মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হারও বেড়েছে। ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে মার্চে। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই হারটা শহরে অনেক বেশি বেড়েছে।

বিবিএস বলছে, এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে ১৮ মার্চ পর্যন্ত বাজারের অবস্থা পর্যালোচনা করে। সেসময় দেশে করোনাভাইরাসের কারণে তেমন কোনো প্রভাব ছিল না বলে। তবে এপ্রিল মাসের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদন করার সময় কোভিড-১৯ এর প্রভাব বোঝা যাবে বলে ব্যুরোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

Share this post

scroll to top