বাকৃবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছাত্রলীগের তিন নেতা আহত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল-রণজিত (কে.আর) মার্কেটে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হচ্ছেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য তায়েফ রহমান রিয়াদ, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক ইফতিয়াখ ঈষাণ ও সদস্য রাশেদ খান মিলন। এদের মধ্যে রিয়াদ ও মিলনকে বিশ্ববিদ্যালয় হেলথ কেয়ারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠিয়েছেন হেলথ কেয়ারের কর্তব্যরত চিকিৎসক। বর্তমানে তারা মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মারপিটের প্রতিবাদে প্রক্টোর অফিসের সামনে বি¶োভ করছে ছাত্রলীগের একাংশ। অন্যদিকে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রæপের নেতাকর্মীরা বিকেল পর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিল। পরে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নেতাকর্মীদের নিজ নিজ হলে হলে পাঠিয়েছেন।

ছাত্রলীগের একাংশ অভিযোগ করেন, বর্তমান কমিটির সদস্য রাশেদ খান মিলনকে বঙ্গবন্ধু হলে মারপিট করে সভাপতি সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো: রুবেলের সমর্থকরা। এর প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কামাল-রঞ্জিত মার্কেটে জড়ো হয় বি¶ুব্ধরা। পরে সেখানে সভাপতি ও সাধারণ-সম্পাদকের অনুসারীরা হামলা চালিয়ে রিয়াদ ও ঈষাণ নামের আরো দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে আহত করে।

এদিকে সভাপতি ও সাধারণ-সম্পাদক সমর্থক কেউ এ হামলার সাথে তাদের কেউ জড়িত নন বলে জানিয়েছেন তারা। কে আর মার্কেকে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের কর্মীরা কাউকে হামলা করেনি। সামনে বাকসু নির্বাচন বানচাল ও ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করাসহ বর্তমান ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করতে একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আনিছুজ্জামান জনির অভিযোগ, প্রক্টোরের উপস্থিতিতেই মারপিট করে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে মাথা ফাটিয়েছে তারা। বর্তমানে আমরা এ ঘটনার বিচারের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি।

আরেক যুগ্ম-সম্পাদক নূরে আলম তপন জানান, বর্তমান কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ও সম্মেলন চেয়ে একটি গ্রুপ বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে। এরই জের ধরে সাধারণ কর্মীদের উপর হামলা করেছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ।

মাথা ফাটানোর ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে বাকৃবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. রুবেল জানান, কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাকসু’র পরিবেশ এবং বর্তমান কমিটির সুনাম নষ্ট করার জন্যই একটি পক্ষ এসব প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর ড. মো. আজহারুল হক বলেন, আমরা দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করছি। ক্যাম্পাসের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্র নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তিনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top