ময়মনসিংহে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৯২১জন শিশুর মাঝে ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিতরণ
…
ময়মনসিংহ জেলার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য, বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি, দৃষ্টিনন্দন জীবনাচার দেশি বিদেশি পর্যটকদের মন কাড়ে। এ জেলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের লীলাভূমির দর্শনীয় স্থানগুলো হলো শহীদ আব্দুল জব্বার জাদুঘর, শশী লজ, গৌরীপুর হাউজ, রাজ রাজেশ্বরী ওয়াটার ওয়ার্কস, ময়মনসিংহ টাউন হল, কালুশাহ বা কালশার দীঘি, মহারাজ সূর্যকান্তের বাড়ি, চীনা মাটির টিলা, রাবার ডেম, গারো পাহাড়, অর্কিড বাগান, আলাদিনস পার্ক, আলেকজান্ডার ক্যাসেল, শিল্পাচার্য জয়নুল উদ্যান, স্বাধীনতা স্তম্ভ, মিনি চিড়িয়াখানা, আনন্দ মোহন কলেজ, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
নামকরণ
ময়মনসিংহ জেলার নামকরণ নিয়ে ইতিহাসবিদদের মাঝে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। আর ষোড়শ শতাব্দীতে বাংলার স্বাধীন সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দিন হোসেন শাহ তার পুত্র সৈয়দ নাসির উদ্দিন নসরত শাহ’র জন্য এ অঞ্চলে একটি নতুন রাজ্য গঠন করেছিলেন, সেই থেকেই নসরতশাহী বা নাসিরাবাদ নামের সৃষ্টি। মুসলিম যুগের উৎস হিসেবে নাসিরাবাদ নামটিও আজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া আর কোথাও উল্লেখ করা হচ্ছে না। ১৭৭৯-তে প্রকাশিত রেনেল এর ম্যাপে মোমেসিং নামটি বর্তমান ‘ময়মনসিংহ’ অঞ্চলকেই নির্দেশ করে। তার আগে আইন-ই-আকবরীতে ‘মিহমানশাহী’ এবং ‘মনমনিসিংহ’ সরকার বাজুহার পরগনা হিসাবে লিখিত আছে; যা বর্তমান ময়মনসিংহকেই ধরা যায়। এসব বিবেচনায় বলা যায় সম্রাট আকবরের রাজত্ব কালের পূর্ব থেকেই ময়মনসিংহ নামটি প্রচলিত ছিলো। ব্রিটিশ আমলে জেলা পত্তন কালে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সমৃদ্ধ জমিদারগণ সরকারের কাছে জেলার নাম ‘ময়মনসিংহ’ রাখার আবেদন করলে সরকার তা গ্রহণ করে নেন। আবার অনেকে মনে করেন, ময়মনসিংহ নামকরণ করা হয় সম্রাট আকবরের প্রধান সেনাপতি মান সিংহের নাম অনুসারে।