জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করায় ২২ জন নেতা কর্মীকে অব্যাহতি প্রদান করেছে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা আ. লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্ব-স্ব পদের দায়িত্ব তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
রোববার রাত ১২টায় সংবাদমাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ এবং সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন মনি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আহম্মদ ছাবু, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাইতুল ইসলাম শুভ, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজয় মিয়া, আ. গফুর, গোলাম মোস্তফা আবু, আসরাফুল ইসলাম আক্কাস, মো. রেজাউল করিম, মো. আ. ওয়াহাব, দুলাল, বাদশা, বাবলু, তাপস আহম্মদ, মাহাবুবুর রহমান, বিকাশ কবির ইমরান, রেজাউল করিম, মোখলেছুর রহমান, রেজাউল করিম রাজা, শাহারিয়া সোহেল, আলামিন হিটলার, দেওয়ান বাবলা এবং মোঝাফফর আহম্মদ।
আগামী ২৭ জুলাই দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৩ জন, বিএনপির ১ জন। নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহম্মেদ দিদারের স্ত্রী ফারিন হোসেনকে। আর দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের ভাতিজা নূরনবী অপু এবং বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে থাপ্পড় মেরে চেয়ার হারানো শাহ নেওয়াজ শাহানশাহ।
এদিকে বিএনপির একমাত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়াই করছেন সাদেক নেওয়াজী। দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে এই প্রথম ভোটাররা ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদান করবেন।