ময়মনসিংহের পাগলায় বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনীর সভায় দু’ঘন্টাব্যাপী হামালা চালিয়ে চেয়ার টেবিল, মোটর সাইকেল ভাংচুর ও নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় নারী-পুরুষসহ অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। মধ্যযুগীয় কায়দায় বচালানো এ হামলা থেকে বয়োবৃদ্ধ মহিলারাও রেহাই পায়নি। নারকীয় এ হামলার শিকার হয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর বৃদ্ধা মা আনোয়ারা বেগমসহ তার স্বজন লাভলী বেগম, মনোয়ার বেগম, রানী বেগম, শিরিন সুলতানাসহ বয়স্ক নারী ও শিশুরাও রেহাই পায়নি। হামলা চলাকালীন সময়ে হামলাকারীরা রামদা, কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে প্রায় চল্লিশটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
বুধবার দুপুর বারটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত হামলা ভাংচুরের ঘটনা অব্যাহত ছিল বলে দাবি করেছেন ময়মনসিংহ দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু । হামলার পর পুলিশের কাছে স্থির ও ভিডিও চিত্র সরবরাহের দাবিও করেছেন বিএনপির এই নেতা।
আকতারুজ্মান বাচ্চু অভিযোগ করে বলেন, পাগলা থানার লংগাঈর ইউনিয়নের সৈয়দপাড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভার আয়োজন করা হলে লংগাঈর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন সর্দারের নেতৃত্বে সুলভ ফরাজী, রায়হান ফরাজী, কবির, পনির, যুবরাজ, ফরহাদ, কামাল ফকির, শামছুল, রিপন, আলমগীরসহ শতাধিক সন্ত্রাসী ব্যক্তি আগ্নেয়াস্র ও দেশী অস্র-শস্রসহ সভায় বর্বরোচিত হামলা চালায়। পুলিশের কাছে ঘটনায় জড়িতদের স্থির ও ভিডিও চিত্র সরবরাহ করা হলেও কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
এ বিষয়ে পাগলা থানার ওসি তদন্ত সুমন রায় বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তখন কাউকে পাওয়া যায়নি। তাকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি।