কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুলে প্রতিপক্ষের অস্ত্রের কোপ ও গুলিতে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। তার নাম ফয়সাল উদ্দিন (২৬)। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে খুরুশকুলের ডেইলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কক্সবাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
নিহত ফয়সাল উদ্দিন ওই ইউনিয়নের কাউয়ারপাড়া এলাকা মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে। তিনি কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মাহমুদুল করিম মাদু বলেন, রোববার বিকেলে খুরুশকুল ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলন ছিল। সম্মেলনের সময় ফায়সাল মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের তার প্রাণ নাশের আশঙ্কার কথা জানান। পরে সম্মেলন চলাকালে দূর্বৃত্তরা বেশ বেশ কয়েকবার ফায়সালকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। তখন পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশের একটি টহল টিম আসে।
সম্মেলন শেষে একটি সিএনজিতে ফায়সালকে নিয়ে পুলিশ নিরাপদ স্থানে রওনা দেয়। সিএনজির পেছনে ছিল টহল টিম।
ওই সময় দূর্বৃত্তরা এসে পুলিশের সামনেই ফয়সালের হামলা শুরু করে। তার শরীর দাসহ নানা যন্ত্রাংশ দিয়ে কোপানো হয় এবং গুলি করা হয়। পরে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশিকুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন।
তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুইজন আহত হয়েছেন। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে।
এদিকে চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারসহ ফয়সালের খুনিদের গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান।