ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে লাগামহীন দুর্নীতি!

ময়মনসিংহের অন্যতম স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে  অকল্পনীয় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার নেপথ্যে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন এবং তার গঠন করা  সিন্ডিকেট।

যার প্রেক্ষিতে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা কলেজের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি তাদের সাথে অসহযোগীতামূলক আচরণ করেন এবং বিভিন্ন দুর্নীতিমূলক কর্মকান্ডের কোনো সদুত্তোরও দেননি । এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিলে রবিবার (৩ রা জুলাই) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ” দুর্নীতিমুক্ত ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ চাই” এই ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রসেনজিৎ বড়ুয়া ও সিভিল ডিপার্টমেন্ট এর ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. তৌহিদুল ইসলাম আশরাফী। বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, অধ্যক্ষ এবং তার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে যেসব অভিযোগ উঠে এসেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হল- ব্যবস্থাপনা ও মেরামতের কাজের নামে কোটি টাকার অনিয়ম (টেন্ডার কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে রিপেয়ার এবং মেইন্টেনেন্স এর কোন ধরণের কাজ না করেই বিল উত্তোলন করা হয়),  সেমিনার,যানবাহন ব্যবস্থা এবং মেডিকেল সেন্টারের নামে দূর্নীতি,কর্মচারিদের বেতন নিয়ে দুর্নীতি,কলেজের আসবাবপত্র কেনায় দুর্নীতি, আউটসোর্সিং এর টেন্ডারে সরাসরি আর্থিক লেনদেনে অধ্যক্ষ মহোদয় এবং প্রভাষক ফরহাদুল আলমের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন টেন্ডারে বিশেষ করে আর এফ কিউ এর বিভিন্ন কাজে আর্থিক লেনদেনে অধ্যক্ষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে । বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট এর ল্যাবের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং এই ধরনের কেনাকাটায় চাহিদাপত্র এর সাথে গড়মিল থাকা সত্ত্বেও  রিসিভিং কমিটিকে ভয় ভীতি প্রদর্শন এর মাধ্যমে স্বাক্ষর করাতে বাধ্য করা হয়।

বক্তব্যের শেষে শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের দ্রুত পদত্যাগ দাবি করেন ও সকল দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আহবান জানান, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

Share this post

scroll to top