জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি আবারো অবনতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানি বাড়তে থাকায় ফের বন্যার আশঙ্কায় চিন্তিত নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
এর আগে গত কয়েক দিনে বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করলে নদীভাঙন এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। বিলীন হয়ে যায় আবাদি জমি ও বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি।
বন্যার্ত এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় ঈদের আমেজ নেই। বন্যার পানি কমলেও তারা তাদের বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না। এরই মধ্যে আবারো বন্যার পানি বাড়তে থাকায় বন্যার্ত মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ৫টি উপজেলার ৩২টি ইউনিয়নের ৯৩টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫ হাজার ১৬৭টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ১৭ হাজার ৭৩৮। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির সংখ্যা ৩ হাজার ৭১২। আশ্রিত লোকের সংখ্যা ৯ হাজার ৬৪৮। ১ হাজার ৯৪৪ হেক্টর ফসল ক্ষতি হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ইসলামপুরে বন্যার্ত ৭ হাজার পরিবারের মাঝে ৯০ মেট্রিক টন চাল ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে এবং ২০০ প্যাকেট শুকনো খাবারও বিতরণ করা হয়।
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, দুই-এক দিন বৃষ্টি হওয়ায় পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৩০ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৪ সেমি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যে বিপৎসীমার নিচে পানি চলে আসবে বলেও জানান তিনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, এ পর্যন্ত বন্যার্ত এলাকায় ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙন এলাকায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা এবং পরবর্তীতে আরও ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে মোট ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্যার্ত এলাকায় ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।