শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিয়ের সাতদিনের মাথায় ‘প্রেমিকের’ হাতে খুন হয়েছেন এক তরুণী।
বুধবার রাতে নালিতাবাড়ী পৌর শহরের কালিনগর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিতি (১৮) ওই এলাকার মুছা মিয়ার কন্যা। অভিযুক্ত যুবক রুহুল আমিন একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহুল আমিনের সঙ্গে দিতির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত বৃহস্পতিবার বাঘবেড় ইউনিয়নের চেল্লাখালী গ্রামের খাইরুলের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী খাইরুল দিতিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে ঢাকায় কাজে যান।
বুধবার রাত ৯টার দিকে রহুল আমিন তার ভাবীকে নিয়ে দিতিদের বাড়িতে যান। ডাকাডাকির পর দিতি দরজা খুললে সঙ্গে সঙ্গে রহুল আমিন দা দিয়ে দিতির মাথায় কোপ দেন। এতে ঘরের মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন দিতি। এ সময় তার মা চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন, তখন দৌড়ে পালিয়ে যান রুহুল আমিন।
পরে স্বজনরা দিতিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়মনসিংহ নেওয়ার পথে দিতি মারা যান।
এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রুহুল আমিনের ভাবী রাহেলাকে আটক করে। অভিযুক্তকেও ধরতে অভিযান চালাতে থাকে পুলিশ। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রহুল আমিন নিজেই পুলিশের কাছে এসে ধরা দেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় দিতির বাবা থানায় মামলা করেছেন।