অতিবৃষ্টি, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়া উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের খাগগড়া গ্রামে নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকসেদ আলীর বাড়িসহ দু’টি বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে।
দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন সরকার জানান, নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে খাগগড়া গ্রামের দুইশো মিটার জায়গা বিলীন হয়ে গেছে। প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নোয়াপাড়া, কড়ইগড়া, কালিকাবাড়ি, বল্লভপুর, খাগগড়া গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও নির্মানাধীন বেরিবাঁধ ও নেতাই নদীর পাড় ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকেছে। পুরাকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামেও পানি প্রবেশ করেছে। এতে তিন শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন সন্ধ্যায় খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকালের দিকে ভারী বর্ষণের কারণে ঘোষগাঁও নির্মানাধীন বেরিবাধ ও নেতাই নদীর পাড় ভেঙে গেছে। এতে ঘোষগাঁও, পুরাকান্দুলিয়া ও দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পাঁচ শতাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। স্থানীয়ভাবে তাদেরকে শুকনো খাবার সহায়তা করা হেেয়ছে। জেলা প্রশাসকের কাছে দশ টন চাল ও দুই লাখ টাকা সাহায্য চাওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।